কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁ শহরের লাটাপাড়া এলাকায় এক প্রভাবশালীর অবহেলায় পুকুর ভেঙ্গে গাছপালা ও বসতবাড়ী বিলিনের পথে এক গরীব পরিবারের। দীর্ঘ দিন চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীদের দারে দারে ঘুুুরেও বিচার পাননি জবা বেগম (৪৭) নামের ঐ অসহায় মহিলা। বিচার না পাওয়ায় সর্বশেষে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নওগাঁ সদর প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমানের কাছে ভুক্তভূগী জবা একটি মৌখিক অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, নওগাঁ জেলা শহরে লাটা পাড়া দীর্ঘ ৩০ বছর আগে থেকে আজাদ চিশতী একই পুকুর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে গরীব ও অসহায় জায়গার আমগাছসহ ৫ টি বড় গাছ ও রাস্তাঘাট পুকুরের গর্ভে বিলিন হয়ে যায়।
গাফিলতির কারনে বয়স্ক অসহায় ব্যাক্তির শেষ সম্বল একটি বাড়ি বিলিনের পথে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নওগাঁ পৌরসভার লাটাপাড়া বাজার সংলগ্ন আজাদ চিশতীর পুকুর।
সরজমিনে জানাযায়, জবা বেগম প্রায় ২০ বছর পূর্বে জমি কিনে একটি বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছে। বর্তমানে বর্ষার পানি নামতে শুরু করায় পুকুর পাড় না থাকায় পানিপ্রবাহের গতি অত্যাদিক বেড়ে যাওয়ায় পাশে ঐ বৃদ্ধার বাড়িটি ভাঙন শুরু করে। বিষয়টি আজাদ চিশতী ও তার লোকজনদের জানালেও কোন কর্নপাত করেনি।
এ বিষয়ে জবা বেগম অশ্রুজড়া কন্ঠে বলেন, আমি বৃদ্ধ মানুষ, রোজগার করার মত আমার কেউ নাই। অনেক কষ্ট করে এখানে জমি কিনে বাড়ি করেছি। এখন পুকুরপাড় না থাকায় আমার বাড়িটির ২টি দেওয়াল ভেঙ্গে গিয়েছে, বার বার তাদের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সমাধান পাচ্ছি না। তাই আমার বাড়িটি রক্ষায় প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে আজাদ চিশতী বলেন, আমার পুকুর ১৯৯৩সালের সে বাড়ী করেছে ১০ থেকে ১৫বছর আগে। পুকুর আগে পাড় ২ফিট ছিল অনেক দিন পুকুর সংস্কার না কারার কারনে ভেঙেছে তো আমি এখন কি করতে পারি। পুকুর মাঘফাল্গুন মাসে পানি কম থাকে সে সময় মাটি নিজ দায়িত্বে বাড়ীর পাশের পাড় ঠিক না করে তা হলে আমি কি করবো। আমি তো মাটি কেটে বাড়ি ঠিক করে দিব না। আমার পুকুর আমি সংস্কার করবো কি করবো না সেটা আমার ব্যাপার। পুকুরপাড়ে যাদের বাড়ী তারা পার ঠিক
করবে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আগেই ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল তবে এখন যেহেতু আমরা জেনেছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করব যাতে তাদের বাড়ির কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হয়।