কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ কৃষি প্রধান আত্রাই সাহেবগঞ্জ-নবাবেরতাম্বু অধ্যাষিত আত্রাই উপজেলায় এবার রোরো ধানের বাম্পার ফলন কিন্তু কিছু জমিতে ধান কাটা শুরু হলেও আগামী সপ্তাহে পুরোদমে শুরু হবে ধান কাটা।এ বছর ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষকরা। যে সময় জমি থেকে ধান কেটে ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারাঠিক সেই সময়েই দমন করা যাচ্ছে না পোকার আক্রমন। এক জমি থেকে আরেক জমিতে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয় কৃষক এই পোকার নাম কারেন্ট পোকা বললেও উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে এটা ব্লাস্ট রোগ।
মূলত পাকা ধানেই এই পোকা প্রথমে ধান শীষের কচি ডগার রস চুষে খায়।ফলে ওই ধানের শীষ দুই/তিন দিনের মধ্যেই মরে সাদা হয়ে ওঠে। উপজেলার সাহেবগঞ্জ,খঞ্জর, জয়সাড়া, নবাবের তাম্বু, মালি পুকুর, পাঁচুপুর, গুড়নইও পাঁচুপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মাঠে সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের এমন দুঃখ-দূদশার চিত্র দেখা যায়। এসময় কথা হয় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন কৃষকের সাথে।
সাহেবগঞ্জ সরদার পাড়া গ্রামের কৃষকসেন্টু হোসেন বলেন, আমার ১০বিঘা জমিতে ব্রি-৮১ জাতের ধান রোপন করেছেন।তার সব জমিতেই ব্লাস্ট রোগ আক্রমন করেছে।কীটনাশক স্প্রে করেছি কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।
আলহাজ্ব আবদার হোসেন সরদার বলেন,আমার তিন বিঘা জমিতে ব্রি-৮১ ধানের ব্লাস্ট রোগ ধরেছ্ বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোন প্রতিকার করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ কেএম কাওছার হোসেন বলেন, বোরো মৌসুমে শুরু থেকে আবহাওয়া ভালোই ছিল। মাঝে কিছুটা প্রতিকুলআবহাওয়ার কারনে ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছেএবং প্রতকারে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। সেই সাথে যেসব ধান ৮০ ভাগ থেকে পড়ে গেছে ওই ধানগুলো দ্রুত কেটে নেয়ার জন্য কৃষকদের পরামশ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া যে সকল স্থানে জমিতে পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে সেখানে কীটনাশক স্প্রে করার পরামশ দেয়া হচ্ছে।আশা করা যায় তাতে কৃষকরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।