নোভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) প্রতিনিয়তই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। অথচ গতকাল স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক দাবি করেছেন, ‘দেশ থেকে করোনা বিদায় নেওয়ার মুখে। বাংলাদেশে শনাক্তের তুলনায় করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কম। ভ্যাকসিন ছাড়াই দেশ এখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার পথে।’
তবে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি মানতে রাজি নন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা আর দিশাহীনতায় পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়াবে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন রুগীকে শনাক্ত করা হয়। আর মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত ১৮ মার্চ। তার পর থেকেই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। সংক্রমণের নিরিখে এই মুহূর্তে বিশ্বে ষষ্ঠদশ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌনে তিন লক্ষ ছুঁইছুঁই করছে। শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫২৫ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৬৩৫ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৬৪৪ জন। আর প্রাণ ঝরেছে ৩৪ জনের।
যদিও দেশে মাঝে করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়ে দিয়ে শনাক্তের দেখিয়ে মারণ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসার অসাড় দাবি করে হাসির পাত্র হয়েছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী। সমালোচনার মুখে পড়ে ফের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ফলে প্রতিদিন দেশে আড়াই হাজারের বেশি রুগী শনাক্ত হচ্ছে।
অথচ দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ফের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বাস্তব চিত্রের উল্টোকথা শুনিয়েছেন তিনি।
রাজধানীর বিসিপিএস অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারীতে গোটা বিশ্ব যেখানে হিমশিম খেয়েছে, সে সময় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি সামলেছেন। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী চলে করোনা মোকাবিলায় সফল হয়েছি। তার ফলেই দেশ থেকে করোনা বিদায় নেওয়ার মুখে।’