চলমান জ্যৈষ্ঠ মাসে সারাদেশে মৃদু থেকে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে আরও কয়েক দিন। রাজধানীতে আপাতত কয়েক দিন বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আজ শনিবার আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, সারাদেশে তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন বজায় থাকবে। রাজশাহী, দিনাজপুর, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা ও বরিশাল বিভাগসহ রংপুর রাজশাহী, খুলনা বিভাগের অবশিষ্ঠাংশ এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলা সমূহের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
অপরদিকে সাগরে আরও দুইটি সাইক্লোন বিপর্যয় ও তেজ সৃষ্টি হতে চলছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশ্লেষকরা। ইউরোপীয় আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৬ থেকে ৮ জুনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি এবং ৭ থেকে ৯ জুনের মধ্যে আরব সাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এর নাম যথাক্রমে বিপর্যয় ও তেজ। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি ১১ থেকে ১২ জুনের মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ও বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
আমেরিকান গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেমের বরাত দিয়ে আবহাওয়া অফিস আরো জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ১১ থেকে ১২ জুন ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ সৃষ্টি হয়ে ১৩ থেকে ১৪ জুনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
উল্লেখ্য, গত দুই দিনে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপদাহ রেকর্ড হয়েছে। ১১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে জুন মাসে। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ডিমলায়, ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সিলেটে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি