চীনে উদ্ভাবিত কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের ট্রায়াল দেশে চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে । অংশগ্রহণকারীদের ৬ মাস পর্যবেক্ষণে রেখে এর কার্যকারিতা যাচাই করবে আইসিডিডিআরবি।
এদিকে, চীন ছাড়াও রাশিয়া এবং ভারতের টিকা পেতেও চলছে যোগাযোগ। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, টিকা পেতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দসহ সব বিষয়কেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
কোভিড ১৯ মহামারির সময়ে ভাইরাসটি থেকে সুরক্ষা পেতে আশা জাগানিয়া বিষয় হলো, দেশে চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানি উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জট খোলা। চলছে সিনোভ্যাকের নমুনা টিকা দেশে আসার প্রক্রিয়া।
বাংলাদেশে চীনের ভ্যাকসিনটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষ করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি। চলতি মাসেই ট্রায়াল শুরুর আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রাথমিকভাবে ৪ হাজার ২০০ স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর প্রয়োগের মাধ্যমেই যাচাই হবে বাংলাদেশে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা। নিরাপদ প্রমাণিত হলে বিনামূল্যে ১ লাখ ১০ হাজার ডোজ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিবে চীন।
আইসিডিআরবি এর কোভিড টিকা ট্রায়ালের প্রধান গবেষক ড. কে জামান বলেন, চলতি মাসেই ভ্যাকসিন ট্রায়ালটি আরম্ভ হবে। ভ্যাকসিনটি দেওয়ার পরে আমাদের অংশগ্রহণকারীদের আমরা ছয়মাস ধরে ফলো আপ করব। তারপর ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নির্ভর করা হবে। আশা করছি মার্চের দিকে যদি কার্যকারিতা প্রমাণ হয় তখন আমরা সামনের দিকে আগাতে পারব।
সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফরেও গুরুত্ব পায় টিকা-কূটনীতি। দেশটিতে উদ্ভাবিত ও উৎপাদিত টিকার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানিয়ে গেছেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। এরই মধ্যে বাংলাদেশে টিকা পরীক্ষার আগ্রহ দেখিয়েছে ভারতের বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল। এছাড়া রাশিয়ার টিকা পেতেও চলছে আলোচনা। এরই মধ্যে দেশটি বাংলাদেশেও টিকা উৎপাদনের অনুমতি দেয়ার আভাস দিয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, রাশিয়া জি টু জি করতে চায়। এবং বাংলাদেশে যদি ভ্যাকসিন তৈরি করার ফ্যাসিলিটি যদি থাকে। তাহলে তারা বাংলাদেশেও তৈরি করার অনুমোদন দিতে পারে।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, টিকা পেতে সব বিকল্পকেই বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রেও থাকবে না কোনো কার্পণ্য।
এছাড়া টিকা পাওয়ার আন্তর্জাতিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আছে বিনামূল্যে কিংবা কম মূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ।