দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করলেও রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলার বন্য পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
তবে, বন্যা আক্রান্ত কোনো কোনো এলাকায় পানি কমলেও দীর্ঘদিন বন্যাকবলিত থাকার কারণে মানুষের দুর্ভোগ কমেনি।
বন্যার পানি সামান্য কমলেও ঘরবাড়ি ছেড়ে আসা মানুষজন এখনো নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। বানভাসী মানুষেরা উঁচু বাঁধে খোলা আকাশের নিচে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক মাস ধরে পরিবার-পরিজন, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগিসহ আশ্রয় নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে জীবন কাটাচ্ছেন। বাঁধে আশ্রয় নেয়া বন্যার্তরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ সঙ্কটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কেউবা বাড়িতেই মাচা করে অবস্থান করছেন।
গতকাল বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশে বর্তমানে ১৮টি জেলা বন্যা আক্রান্ত। দেশের ১০১ টি পর্যবেক্ষণাধীন পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে পানি বৃদ্ধি ঘটছে ২৪টি নদীতে এবং হ্রাস পেয়েছে ৭২টির। তাছাড়া, ১৭টি নদ-নদী এখনো বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
ওদিকে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হ্রাস পাচ্ছে যা আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি সমতলে স্থিতিশীল আছে যা আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
তবে, কুশিয়ারা ব্যতীত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীসমূহের পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।