দেশে কি ঘটছে জানিনা। হঠাৎ করেই নানা রকম অপকর্মের খবর আসছে। অপকর্মে জড়িতরা সব হোমরাচোমরা। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ উচ্চ সমাজের মহারথিরা জড়িত অনৈতিক কর্মকান্ডে। শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক নেতাদের নামও নাকি উঠে এসেছে। অবৈধ পথের সহজ উপার্জন মানুষকে বিপথগামি করে দেয়। গড়ী বাড়ী ছাড়াও নারীসঙ্গে জড়িয়ে পরে। অথচ দেশের মানুষের অবস্থাটি ভাল নেই করোনা সংক্রমনের পর থেকে। দুই বছর ধরে ব্যবসাপাতি সব বন্ধ। যেটুকু খোলা হয়েছে ব্যয় মিটানো সম্ভব হয়নি। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এমন দুর্যোগপূর্ন অবস্থায় বিত্ত্বশালীদের বেলাল্লাপানা দেখে দুঃখ হয়। সরকার চেষ্টা করেও করোনার বিপর্যয় ঠেকাতে পারছেনা। প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে দেশে। কোন বিত্ত্ববানকে সাধারন মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে দেখিনি। শহরের ছেলে মেয়েরা অন লাইনে ক্লাশ করলেও গ্রামের গরীব ছাত্রদের সেই সুযোগটি নেই। শিক্ষা জীবনের মূল্যবান দুটি বছর পেরিয়ে গেছে। কোমলমতি শিশুরা যারা এখন স্কুলে যাওয়ার কথা তারা ঘরে বসে বন্ধি জীবন কাটাচ্ছে। সময় বসে থাকেনা চলছে। এভাবে আরও কতদিন চলবে কেউ জানেনা। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাটি স্বচল রাখতে পারলে ভাল হত। নাহয় এই দুই বছরের ক্ষতিটি সামগ্রিক ভাবেই প্রভাবিত করবে দেশকে- জাতীকে। জাতীয় সমস্যা মোকাবেলায় সাধারন জন গোষ্ঠির সম্পৃক্ততা দরকার। অন লাইনের শিক্ষা ব্যবস্থাটি প্রত্যান্তাঞ্চলে সুযোগ করে দেওয়া দরকার। দেশের বিত্ত্ববানরা চাইলে কারিগরি ব্যবস্থায় সরকারকে আর্থিক সহায়তা করতে পারে। কম খেয়ে হলেও লেখাপড়া বন্ধ করা সঠিক হবেনা। লেখাপড়া বন্ধ থাকলে দেশের মেধাশক্তির শুন্যতা দেখা দিবে শিঘ্রই। চেষ্টা করেও তা আর পুরন করা যাবেনা। তাই বিনীত ভাবে সকলের কাছে সনির্বন্ধ আবেদন জানাই আসুন সবাই মিলে দেশটাকে রক্ষা করি। লক ডাউন নয় সচেতনতা বৃদ্ধি করি, মাস্ক পরি। দেশ সরকারের নয় আপনি আমি আমাদের সকলের।
আজিজুর রহমান প্রিন্স,
কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।