অলিউর রহমান মেরাজ, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ নিজের বাপ-দাদার রেখে যাওয়া পৈতৃক জায়গা মনে করে ব্যস্ততম রাস্তার উপর ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রেখে যাত্রী আসার অপেক্ষায় থেকে পথচারীসহ ভারী, মাঝারি সকল প্রকার যানবাহন চলাচলে দূর্ঘটনা জনিত সমস্যা সৃষ্টিকারী অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবহনের নাম ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার সকল ব্যস্ততম রাস্তাগুলোতে বেপরোয়াভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ভ্যান। তিন চাকার প্যাডেল রিকশার কাঠামোতে ব্যাটারির সাহায্যে মোটর যুক্ত করে অটোমেশন সিস্টেম অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান।
এদিকে মোটরযান বা প্যাডেল চালিত যানের কোনো ক্যাটাগরিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যানকে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়। তবুও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু অসৎ কর্মক’র্তার সহায়তায় দীর্ঘ দিন ধরে এই বাহনটি অবৈধভাবেই (কোনো লাইসেন্স বা কাগজপত্র নেই) সড়ক-মহাসড়কে চলাচল করে আসছে। ওজন ও গতির সঙ্গেও কোনো সামঞ্জস্য না থাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যানে দুর্ঘ’টনাসহ প্রাণহানির ঘটনাও প্রতিনিয়ত ঘটছে।
যদিও বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রশাসন এই বাহনটির বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে ছিল, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবের কারণে তা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেননি।
এদিকে দিনের পরদিন ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা বাড়তে থাকলেও বিগত বছরগুলো প্রশাসনও নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে এসেছে । তবে উপজেলায় নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা যখন বেড়েই চলেছে এবং দুর্ঘ’টনাও বাড়ছে, ঠিক তখন সড়কে এই বাহনটির চলাচল বন্ধ করতে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার।
সড়ক মহাসড়কে দুর্ঘ’টনা প্রতিরোধে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যান বন্ধে একটি নির্দেশনা জারি করেছে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর ফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলাগুলোতে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধে অ’ভিযান শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলাগুলোতেও এসব অবৈধ ঝুঁকিপুর্ণ যানবাহন চলতে দেয়া হবে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ব্যাটারিচালিত রিকশা -ভ্যানের দৌরাত্ন্যে রাস্তায় চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাতের বেলা অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ এই গাড়ির চোখ ঝাপসা করা এলইডি লাইট পথচারীসহ ভারী ও মাঝারি যানবাহন চালক দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে।