স্পোর্টস ডেস্কঃ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন সদ্য বাংলাদেশের নেতৃত্ব পাওয়া নুরুল হাসান সোহান। সেই কথা রেখেছেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। ব্যাটে-বলের দাপটে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে হেসেখেলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত জয়ে সিরিজেও সমতা ফিরিয়ে এনেছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
গতকাল রোববার (৩১ জুলাই) দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফিরল। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার ফের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে খুব বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হতো মাত্র ১৩৬ রান। এই রান তাড়ায় লিটন দাসের হাফসেঞ্চুরিতে ১৫ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় লাল-সবুজের দল।
এই জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দারুণ বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে একাই নাড়িয়ে দিয়েছেন সৈকত। নিজের কোটার ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ২০ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করে ম্যাচসেরা হয়েছেন এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে হাফসেঞ্চুরি করা লিটন দাস উপহার দিয়েছেন ৩৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। যাতে ছিল ছয়টি বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা। এ ছাড়া ব্যাট হাতে আফিফ হোসেন করেছেন ৩০ রান। ১৬ রান এসেছে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে। শান্ত করেছেন ১৯ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রান তুলতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন সিকান্দার রাজা। ৫৩ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল চার বাউন্ডারি ও দুই ছক্কা দিয়ে।
তবে সৈকতের বোলিং কোটা শেষ হলে প্রতিরোধ গড়েন সিকান্দার রাজা। বাকি সময় লড়াই করে জিম্বাবুয়েকে ১৩৫রানের পুঁজি এনে দেন সিকান্দার রাজা। গত ম্যাচেও জিম্বাবুয়ের হয়ে দারুণ ব্যাট করেন তিনি। আজও বিপদে পড়া জিম্বাবুয়েকে বাঁচাতে লড়াই করেন রাজা। সৈকত ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে উইকেটের দেখা পেয়েছেন হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। দুজনের পেয়েছেন সমান একটি করে উইকেট।
উল্লেখ্য, প্রথম ম্যাচ জিম্বাবুয়ে এবং দ্বিতীয়টি বাংলাদেশ জেতায় সিরিজের শেষ ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণীতে পরিণত হয়েছে। একই মাঠে আগামীকাল (২ আগস্ট )তৃতীয় টি-টুয়েন্টি খেলবে দুইদল।