ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল করেছেন ঋষি সুনাক। বরখাস্ত করেছেন লিজ ট্রাসের নিয়োগ দেয়া বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে।
সবচেয়ে কম দিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন শেষে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ডাউনিং স্ট্রিট ত্যাগ করেন সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। করতালির মধ্য দিয়ে তাকে বিদায় জানান প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষি সুনাক দায়িত্ব নেয়ার পরপরই পদত্যাগের হিড়িক পড়ে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায়। কয়েকজনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়েও দেয়া হয়। মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজাচ্ছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। নিজের মিত্র বলে পরিচিত ডমিনিক রাবকে উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ঋষি। একইসঙ্গে রাবকে বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেয়া হয়।
মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব থাকছে লিজ ট্রাসের নিয়োগ দেয়া অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টের কাছেই। এক সপ্তাহ আগে পদত্যাগ করা সুয়েলা ব্রাভারম্যান ঋষি সুনাকের মন্ত্রিসভাতেও হচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকছেন জেমস ক্লেভারলিই। নির্বাচনে ঋষির প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মর্ডান্ট থাকছেন হাউস অব কমন্সের নেতা হিসেবেই। ঋষির নতুন মন্ত্রিসভাকে বরিস জনসনের মন্ত্রিসভা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিরোধী লেবার পার্টি।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই শুভচ্ছায় ভাসছেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তাকে অভিনন্দন বার্তা জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এই তালিকায় আছেন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা। ভারতসহ এশিয়ার দেশগুলোর নেতারাও ঋষিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এদিকে, আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিয়েই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপ করেন ঋষি। ফোনালাপে ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এদিন মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও ফোনালাপ করেন ঋষি সুনাক।