সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে পাইকারি পর্যায়ে দুই দফায় কেজিতে ৫-৬ টাকা কমেছে দেশি পেঁয়াজ ও আলুর দাম। বর্তমানে প্রতিকেজি দেশি আলু ১১-১২ টাকা আর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভরা মৌসুমে সরবরাহ বাড়ায় এক বছরের মধ্যে এখন সর্বনিম্ন পণ্য দুটির দাম। চালের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও চলতি সপ্তাহে খানিকটা উর্ধ্বমুখী সয়াবিন তেল ও মসলার বাজার।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সপ্তাহ খানিক আগে প্রতিকেজি ১৭-১৮ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১৪-১৫ টাকায়। দাম কমার এই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আদা। কেজিতে কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। সুখবর রয়েছে আলু ও রসুনের দামেও। তবে দেশিয়ভাবে উৎপাদন হওয়া এসব পণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্তি কমে গেলে চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না পাইকাররা।
সপ্তাহ শেষে কিছুটা অস্বস্তি বেড়েছে খোলা সয়াবিন তেল ও কয়েকটি মসলার দামে। পাইকারিতে মানভেদে প্রতি কেজি মসুর ডাল ৮১-৯০ টাকা আর চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৭-৪৮ টাকায়। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারের উর্ধ্বগতিকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
সরবরাহ স্বাভাবিক থাকা ও সরকারি তৎপরতা অব্যহত থাকায় স্থিতিশীল রয়েছে চালের দাম। বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট মানভেদে ৪৮-৫১ টাকা, বিআর আটাশ ৩৪-৩৬ টাকা ও মোটা চাল বিক্রি করছেন ৩১-৩৩ টাকা দরে।