যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকায় হলিউডের নামি তারকাদের বাস। ম্যান্ডি মুর, প্যারিস হিলটন, অ্যান্থনি হপকিন্স, ক্যারি এলওয়েসরা বিলাসবহুল আবাসস্থল গড়ে তুলেছিলেন সেখানে। তবে সেসব এখন শুধুই স্মৃতি। দাবানলের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সব।
হলিউড তারকা প্যারিস হিলটনের সমুদ্রতীরবর্তী মালিবুর বাড়িটি পুরোপুরি ভূস্মীভূত হয়ে গেছে। টেলিভিশনে সরাসরি নিজের বাড়ি পুড়তে দেখেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে প্যারিস হিলটন লিখেছেন, আমার হৃদয় ভেঙে পড়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের প্রত্যেকের জন্যই আমার হৃদয় ব্যথিত। এই ধ্বংসযজ্ঞ অকল্পনীয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের পুড়ে যাওয়া বাড়ির ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় এই তারকা। ভিডিওর ক্যাপশনে প্যারিস হিলটন লিখেছেন, বাড়ির সঙ্গে পুড়ে গেছে মূল্যবান অনেক স্মৃতি।
আগুনে ‘দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড’ ছবির অভিনেতা ক্যারি এলওয়েসের বাড়ির অবশিষ্ট বলে কিছু নেই। অল্পের জন্য বেঁচে গেছে তার পরিবার।
খ্যাতনামা মার্কিন অভিনেত্রী জেমি লি কার্টি্রের বাড়িও গ্রাস করেছে আগুনের লেলিহান শিখা। সামাজিক মাধ্যমে নিজেই দিয়েছেন খবর। তবে ঘর পুড়লেও নিরাপদে আছে তার পরিবারে। এজন্য স্রষ্টা ও উদ্ধারকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
দাবানলের বাড়ি জ্বলেছে অভিনেতা-গায়িকা ম্যান্ডি মুরেরও। তবে ভাগ্য সহায় তার। আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করার আগেই পরিবার নিয়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন তিনি। তবে চোখের সামনে এরকম ভয়াবহতায় বাকরুদ্ধ তিনি।
দুইবারের অস্কার বিজয়ী অভিনেতা অ্যান্থনি হপকিন্স হলিউডে তার বিলাসবহুল বাড়িটি হারিয়েছেন বলে জানা গেছে। সামাজিকমাধ্যমের একটি ছবিতে দেখা যায়, ৮৭ বছর বয়সী এই পুরো বাড়িটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অস্কার বিজয়ী আরেক তারকা জেফ ব্রিজেসও তার মালিবুর বাড়িটি হারিয়েছেন।
এখানেই শেষ না। দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত তারকাদের তালিকা বেশ দীর্ঘ। সেইসঙ্গে পুড়েছে স্থানীয় সাধারণ মানুষের আবাসস্থলও।
তবে কীভাবে দাবানলের সূত্রপাত এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লস অ্যাঞ্জেলেসের আশপাশে কমপক্ষে চারটি জায়গায় এই দাবানল ছড়িয়েছিল। যার ভয়াবহতা স্তব্ধ করেছে গোটা বিশ্বকে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম