ইদানিং দলের নেতাদের সঙ্গে কথা হলেই বলে দলের ত্যগী নেতারা অবহেলীত। এই অভিযোগ দেশের সব অঞ্চলেরই। সাংগঠনিক অবস্থাও ভালনা সবখানে। বিষয়টি তুচ্ছ ভাবা সঠিক হবেনা। এই মাঠ কর্মীরাই দুঃসময়ে দলের হয়ে নির্যাতন সয়েছে। নির্যাতন সইলেই নেতা হতে হবে তা নয় তবে, যোগ্য নেতারাও অগ্রাহ্য হচ্ছে নব্য নেতাদের কাছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ অন্য দলের আনুগত্য নিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনও করেছে। পদ পেয়ে মুজিব কোট গায়ে জড়িয়ে বড় নেতা হলেও অন্তরের কথাটি অজানা। আওয়ামী লীগ জনগনের দল, গনমানূষের ভোটেই বার বার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে দলটি। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বার বার উচ্চারন করেছেন দুঃসময়ের নেতা-কর্মীদের কথা। তারপরেও সকলের মূখে এই হতাশা কেন? সত্যইকি ত্যগী নেতারা সুযোগ পাচ্ছেনা?
তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে উন্নয়ন দেখিয়েছে অকল্পনিয়। দেশের অর্থনীতিও এখন আগের অবস্থায় নেই। সব ক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়েও দেশের মানূষের সরকার বিরোধী মনোভাব হবে কেন? অনেক এলাকাতেই নির্বাচীত প্রতিনিধিদের উপর আস্থা নেই মানূষের। দুষ্টচক্র এবং অপরাধে জড়িত ব্যক্তিরা জনপ্রতিনিধিদের চারপাশে। গনমাধ্যমেও এসব খবর প্রচার হয় প্রায়ই। এসব দেখে বিরোধী দলের নেতারা বক্তৃতা করে মাঠে ময়দানে। দায়টি পরে সরকারের উপর, দলের নেতৃত্বের উপর। বিরোধী দল জনস্বার্থে কোন কর্মসূচীও দিতে পারেনি। তাহলে কোন ভরসায় আর আশায় সরকারের পরিবর্তন চায়? বিষয়টি নীতিনির্ধারকদের বিবেচনায় নেয়া দরকার। কর্মী বাহিনীকে ধরে রাখতে হলে তাদের সঙ্গে নেতাদের সংলাপ দরকার। রাজনীতি যেভাবে ভাগ্য গড়ার সিড়ি হয়ে উঠেছে, এই প্রক্রিয়া থেকে আওয়ামী লীগকে বের করে আনতে হবে। আওয়ামী লীগ বি এন পি’র মত দল নয়। আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের গনমানূষের দল। জনস্বার্থ আর জনকল্যানই এই দলের আদর্শ। পরিত্যাজ্য হয়ে আওয়মী লীগের কর্মী ভিন্ন দলে যোগ দিবে তা কাম্য নয়। নেতৃত্বের কাছে বিনীত নিবেদন বিষয়টি সমাধান করুন।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরন্টো, কানাডা
২১ নভেম্বর ২০২০।