থাইল্যান্ডের ব্যাংককে আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় সুফান বুরি প্রদেশের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ বিস্ফোরণ হয়। যা রাজধানী ব্যাংকক থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
থাইল্যান্ডের এক্সপ্লোসিভ অর্ডিন্যান্স ডিসপোজাল (ইওডি) গ্রুপের উদ্ধৃতি দিয়ে সুফান বুরি প্রদেশের গভর্নর নাট্টাপাত সুয়ারপ্রতিপ বলেন, আমরা ইওডির মাধ্যমে জানতে পেরেছি, সেখানে ২৩ জন মারা গেছে।
নাট্টাপাত আরো বলেন, দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি জানান, কারখানাটির বৈধ লাইসেন্স নিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল।
পুলিশ কর্নেল থিরাপোজ রাওয়ানবান বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘অনেকে নিহত হয়েছেন। আমরা দেখছি কতজন মানুষ নিহত হয়েছেন। আমরা অন্য কোনো বাড়ি অথবা ঘটনাস্থলের আশপাশে বসবাসকারী কোনো মানুষকে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে দেখিনি। বিস্ফোরণের বিষয়টি সুইজারল্যান্ড সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী স্রেত্থা থাভিসিনকে জানানো হয়েছে।’
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সরকারিভাবে এখনো মৃতের সংখ্যা নিরূপণ করা যায়নি। কারখানাটিতে ২০ থেকে ৩০ জন কর্মী কাজ করতেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় আশপাশের এলাকায় প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং মরদেহ শনাক্তের কাজ চলছে।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেত্থা থাভিসিন এক অনলাইন বার্তায় বিস্ফোরণে নিহত লোকজনের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন।
ফেব্রুয়ারিতে চীনা নববর্ষ উদযাপিত হবে। এই নববর্ষের আগে আতশবাজির চাহিদা বেড়ে যায়।
থাইল্যান্ডে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা মোটেও বিরল নয়। গত বছরও দক্ষিণাঞ্চলীয় নারাথিওয়াত প্রদেশের সুনগাই কোলোক শহরে একটি কারখানায় বিস্ফোরণে ১০ জন মারা গিয়েছিল। এ ছাড়া গত বছর উত্তরাঞ্চলীয় চিয়াং মাই শহরের একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ জন আহত হয়েছিল। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণেই মূলত এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম