তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পের তাণ্ডবের পর আবারও আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের হার্প প্রযুক্তি। মূলত বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর নিয়ে গবেষণায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার হলেও সমালোচকদের দাবি, হার্প টেকনোলোজির মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে ভূমিকম্প-টর্নেডো-জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটানো সম্ভব। খবর রয়টার্সের।
বৈশ্বিক রাজনীতির কারণেই তুরস্কের ওপর হার্পের অপব্যবহার- এ দাবিতেও তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যদিও এসব অভিযোগ বা দাবির পক্ষে মেলেনি কোনো বৈজ্ঞানিক সত্যতা।
আসলেই কি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নাকি মানবসৃষ্ট কারণেই এমন ভয়াবহতা? তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর, গত কয়েকদিন ধরেই ঘুরে ফিরে আসছে এমন প্রশ্ন। এই ইস্যুতে আবারও আলোচিত হচ্ছে হার্প প্রযুক্তির নাম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গবেষণাভিত্তিক ওয়েবসাইটে দাবি করা হচ্ছে হার্প প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ঘটানো হয়েছে ভূমিকম্প।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
হাই ফ্রিকোয়েন্সি অ্যাক্টিভ অরোরাল রিসার্চ প্রোগ্রাম বা হার্প মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি গবেষণা প্রকল্প। এর আওতায় উচ্চ তরঙ্গ ব্যবহার করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তর বা আয়নোস্ফিয়ারে এ গবেষণা চালানো হয়। বলা হয়, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তরঙ্গ ব্যবহার করে কম্পন সৃষ্টি করা হয় ভূ-পৃষ্ঠে। মূলত বৈদ্যুতিক চৌম্বকীয় তরঙ্গ ব্যবহার করে সৃষ্টি করা হয় এই কম্পন।
হার্প প্রযুক্তি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় মূলত ২০১০ সালে হাইতির ভূমিকম্পের পর। এ ছাড়াও ২০১০ সালে চিলিতে ভূমিকম্প ও সুনামি, ২০১১ সালের জাপানে ভূমিকম্প, ২০১৩ সালে ওকলাহোমায় টর্নেডোর জন্য হার্প প্রযুক্তিকে দায়ী করা হয়। হার্প প্রযুক্তির বিরুদ্ধে আঙ্গুল তোলে ইরান ও ভেনেজুয়েলার মতো দেশ।
যদিও এসব অভিযোগের পক্ষে নেই কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তি কিংবা তত্ত্ব। হার্প প্রকল্পের নানামুখী বিতর্কের কারণে ২০১৪ সালে হার্পের গবেষণা প্রকল্প আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গবেষকরা বলছেন, হার্প এমন কোনো তরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারেনি যা ভূমিকম্প বা অন্য কোনো দুর্যোগ সৃষ্টি করতে পারে।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন