তুরস্ক ও গ্রিসে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি আঘাত হেনেছে। আর ইজিয়ান সাগরে উৎপত্তি হওয়া ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও গ্রিসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ জন। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের ইজমির নগরীতেই মারা গেছেন ২৫ জন। গ্রিসের সরকারি টেলিভিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে ইজিয়ান সাগরের সামোস দ্বীপে ‘ক্ষুদে-সুনামির’ সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ইজমিরের বিভিন্ন রাস্তা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, এখন পর্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে এতে অন্তত ৮০৪ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে তুরস্কের ইজিয়ান সাগরের উপকূলীয় এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এসময় ইজমির শহরের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানের খোঁজে রাস্তায় নেমে আসে। শহরটির মেয়র জানান, অন্তত ২০ টি ভবন ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরাঘাতে এখনো ওই অঞ্চলটি বার বার কেঁপে উঠছে। তারমধ্যেই উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংস্তুপের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন। তারা জানান, সেখানে আরো ৪৭০টি পরাঘাত অনুভূত হয়।
শনিবার উদ্ধারকর্মীরা একটি ভবনের ধ্বংস্তুপের নিচ থেকে একজন মা ও তার চার সন্তানকে উদ্ধার করেছে।
কর্মকর্তারা জানান, ধসের পড়া আটটি ভবনে উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। আরো অন্তত নয়টি ভবনে এখনো উদ্ধার কাজ চলছে।
এছাড়া তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় বলেন, বরনোভা এবং বেরাক্লি অঞ্চলেও ভূমিকম্পের আঘাতে অনেক ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন।
এদিকে তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ শুক্রবার রাতে তার তুর্কি সমকক্ষ মেভলুত চাভুসওগ্লুকে পাঠানো এক বার্তায় তুরস্কের সরকার ও জনগণকে ইরানের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে শোক ও সমবেদনা জানান।ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাঈদ নামাকি তুর্কি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফখরুদ্দিন কোজার কাছে একই ধরনের বার্তা পাঠিয়েছেন।
ডিজিটাল বাংলা নিউজ/ ডিআর / মোস্তাফিজুর রহমান