ভয়টি করেছি বহুদিন ধরে। সরকারের সাফল্য এবং দেশের উন্নয়ন অকল্পনীয়। দেশের মানুষও এখন আশাবাদী। দীর্ঘদিন ধরেই সরকারকে বিব্রত করতে ষড়যন্ত্র চলছে দেশে। রাজনৈতিক আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব নয়। বি এন পি’কে দিয়ে আন্দোলনের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। তিস্তা প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ব্যঘাত হবে আধিপত্যবাদের। বাংলাদেশ হয়ে উঠবে দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতির সঞ্চালক। হাসিনা সরকারের পতন ছাড়া তিস্তার বাস্তবায়ন ঠেকানো সম্ভব নয়। তাই দেশকে অস্থিতিশীল করতে ধর্মকে উষ্কে দেওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। দুই ধর্মের সৌহার্দকে সংঘাতে পরিনত করতে পারলেই কেবল সরকারকে দুর্বল করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে মোক্ষম সময়ে কুমিল্লার পুজা মন্ডপে যঘন্য অপকর্মটি ঘটানো হয়েছে। ক্ষমতার লোভে বিদেশী প্রলোভনে অংশ নিয়েছে দেশীয় শত্রুরা। গলা উঁচিয়ে যারা বক্তব্য দিচ্ছে তারা বহির্শত্রুর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
৭৫ সালেও দেশ যখন ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে কৌশলে দুর্বল করেছে। নির্মম ভাবে হত্যা করেছে জাতির পিতাকে। বাংলাদেশে সকল ধর্মের সামাজিক সম্প্রিতি ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয়। কোন ধর্মের অনুসারিরাই এমন যঘন্য আচরন করতে পারেনা। সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম রাষ্ট্রে সংখ্যা লুঘু হিন্দুদের এমন দুঃসাহস সম্ভবও নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে দুই ধর্মের সম্প্রিতিকে উষ্কে দিয়েছে দেশীয় শত্রুরা বিদেশী মদদে। স্বার্থের লোভে বিদেশীর উদ্দেশ্যকে যারা বাতবায়ন করতে চায় তারা জনগনের শত্রু।। ক্ষমতা তাদের একমাত্র লক্ষ্য- দেশ বা দেশের উন্নয়ন নয়।
বহুদিন ধরেই বিষয়টি কাগজে লেখা লেখি হয়েছে। সরকারী দলেও শত্রু ঢুকে পরেছে। রাজনীতিতে যারা এতিম তারাই প্রলোভনে পরে দেশের স্বার্থটি লুটিয়ে এহেন অপকর্ম করতে পারে। এমন ঘটনা নতুন নয় এই ভূখন্ডে। দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব সর্বকালেই আক্রমনের শ্বিকার হয়েছে, জীবন দিয়েছে জননেতারা। ক্ষতিটি যখন অনুভুত হয় তখন আর শুধ্রাবারও সময় থাকেনা। কুমিল্লার ঘটনা তারই ইঙ্গিত দিয়ে গেছে। ক্ষমতার লোভে দেশের সৌহার্দ বিনষ্ট করা অশুভ লক্ষন। কুমিল্লার ঘটনাও বৃহৎ ষড়যন্ত্রের একাংশ নয় ভাবার অবকাশ নেই। তাই সরকারের পাশাপাশি নাগরিগদেরও সচেতন হতে হবে। কুমিল্লার ঘটনাটি তুচ্ছ ভাবা সঠিক হবেনা।
আজিজুর রহমান প্রিন্স,
কলামিস্ট, টরন্টো, কানাডা।