মো. ইব্রাহিম খলিল, বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়া, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলাধীন ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের অন্তর্গত কংশনগর বাজারের পূর্বে পাশাপাশি অবস্থিত কংশনগর-হাসনাবাদ-রামচন্দ্রপুর গ্রাম। তিন গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় দশ হাজার। উক্ত জনপদে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এবং একটি হাইস্কুল রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম রাস্তাটি পুরো বর্ষাজুড়ে কর্দমাক্ত থাকে। ফলে অত্র এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ায় সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হয়; এযাবৎ যা কেউ দেখার নেই।
শুধু তাই নয়, অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতী মায়েদের যথাসময়ে হাসপাতালে পৌঁছানো যায় না। ফলশ্রুতিতে,অসুস্থ রোগী, গর্ভবতী মা ও অনাগত সন্তানকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়। কৃষকের উৎপাদিত শাক-সবজি ও অন্যান্য পণ্য কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে যথাযথভাবে বাজারজাত করায় অসুবিধা হচ্ছে।
তাছাড়া নিত্য যাতায়াতে ব্যবসায়ী,চাকুরীজীবী এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগে পড়তে হয়।যাত্রী নিয়ে
যাতায়াতে যানবাহন চালকদেরও দুর্ভোগ- দুর্দশার অন্ত নেই।বর্ষার মৌসুমে রাস্তা মাত্রাতিরিক্ত কর্দমাক্ত থাকায় অনেক সময় গাড়ি রাস্তা থেকে ছিটকে খাদে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
এই জনপদের দীর্ঘদিনের দাবি ও প্রত্যাশা, কংশনগর- রামচন্দ্রপুর রাস্তাটিকে অচিরেই যেন পাকা করার ব্যবস্হা করে দেয়া হয়।যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনতিবিলম্বে যেন রাস্তাটি পাকা করার বন্দোবস্ত করেন এটি শুধুমাত্র এলাকাবাসীর বিনীত আবেদন ও প্রত্যাশা নয়, বিশ্বাসও বটে। জনপদের মতানুযায়ী, যেখানে পাশাপাশি অন্যান্য জনপদ পাকা করা হয়েছে সেখানে উক্ত জনপদ বিভিন্ন দিক দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে এই অবহেলার শিকার!
রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলতে হয়- “মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ।”
অপেক্ষার প্রহার না-কি দীর্ঘ হয়। যেখানে অপেক্ষা আছে, সেখানে অপেক্ষার পরে
সুখ ও প্রাপ্তি আছে। সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে,উক্ত জনপদকে তাদের বিশ্বাসের মর্যাদার পূর্ণ প্রতিফলন দেয়া হোক – এ বিশ্বাস সবার।