আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ তালেবানদের ক্ষমতা দখলের পর আজ সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো কাবুল বিমানবন্দরে একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ফ্লাইট অবতরণ করেছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) ওই ফ্লাইটে হাতেগোনা কিছু যাত্রী ছিলেন। খবর-আল জাজিরার।
ইসলামাবাদ থেকে ছেড়ে যাওয়া ওই ফ্লাইটে বার্তা সংস্থা এএফপি’র একজন সাংবাদিক ছিলেন। তিনি বলেন, ফ্লাইটে হাতেগোনা কয়েকজন আরোহী। প্রায় ১০ জনের মতো যাত্রী হবে। সম্ভবত যাত্রীর চেয়ে ক্রু সংখ্যাই বেশি ছিল। পিআইএ’র ওই ফ্লাইটটি নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইট নাকি বিশেষ বাণিজ্যিক চার্টার ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
পিআইএ’র একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমরা নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু ব্যাপারে আগ্রহী আছি। তবে দুই দেশের মধ্যে কতবার ফ্লাইট চলাচল করবে তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি। এএফপি’কে পিআইএ’র হেড অব অপারেশন্স জাওয়াদ জাফর বলেন, কাবুলে সরকার পরিবর্তনের দীর্ঘ সময় পর এটি আমার জন্য একটি দারুণ মুহূর্ত।
বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করতে পারা তালেবানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ যাদের যথাযথ কাগজপত্র আছে তারা অবাধে দেশ ছাড়তে পারবে বলে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান। গত সপ্তাহে কাতার এয়ারওয়েজ বেশ কয়েকটি চার্টার ফ্লাইট চালায় কাবুল থেকে। এসব ফ্লাইটে মূলত আটকে পড়া বিদেশি এবং আফগানদের উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, মার্কিন বাহিনী গত ৩০ আগস্ট আফগানিস্তান ছেড়ে যায়। তার আগে তারা দেশটি থেকে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করে। এই প্রক্রিয়া চলাকালে কাবুল বিমানবন্দরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। বিমানবন্দরের প্যাসেঞ্জার হল, এয়ার ব্রিজ এবং কারিগরি অবকাঠামোর মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়। তালেবানরা গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে নেয়ার আফগানিস্তান ছাড়তে কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। এরপরই এসব স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে মার্কিন বাহিনী দেশ ছাড়ার পর থেকেই বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল তালেবান। বিশেষ করে এজন্য কাতার এবং অন্যান্য দেশের সহায়তা নেয় তারা।