বরগুনার তালতলীতে অবৈধ চরগরা জাল দিয়ে অবাধে মাছ ধরার মহোৎসব চললেও দেখার যেন কেউ নাই। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।
মাছ নিধন কৃত এলাকায় দেখা যায়, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাটের উত্তর ও দক্ষিণে আন্দার মানিক নদীর চরে দুই দিকে হাজার হাজার মিটার অবৈধ চরগরা, কারেন্ট, ফাস জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ নিধন চলছে। এসব জালে ছোট-বড় সব ধরনের মাছ ধরা পড়ে। ভাটার সময়ে চর ঘেঁসে এসব জালগুলো আগ থেকে পুতে রাখা বাসের খুঁটির সাথে জোয়ারের পানিতে ভরে গেলে জাল গুলো উপরে তুলে নির্ধারিত এলাকা আটকে ফেলে।জোয়ারের পানি নেমে গেলে সব ধরনের মাছ গুলো নিথর চরে পরে থাকলে সেগুলো বাছাই করে জেলেরা বিক্রি করে। ফলে রেনু সহ ছোট মাছগুলো মারা পরে।
উপজেলার বিভিন্ন খালে ও নদীতে এ ধরনের জালের সয়লাব হয়ে গেছে। এসব অবৈধ জাল ব্যবহারে বেড়ে যাওয়ায় মাছের স্বাভাবিক প্রজনন,বংশ বিস্তার ও বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। অচিরেই এসব জাল বন্ধ না হলে দেশের মৎস্যভাণ্ডারে বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিদিন একইভাবে অবৈধ জাল দিয়ে এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা মা মাছ নিধন করলেও মৎস্য বিভাগসহ স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোনো নজরদারী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বলেন, মৎস্য বিভাগের লোকজন ম্যানেজ করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযানে আসালে আগ থেকেই জেলেদের জানিয়ে দেন।ফলে অভিযানের সময় জেলেরা জাল উঠিয়ে চরের জঙ্গলে পালিয়ে থাকে।
তালতলীর বিশিষ্টজনরা মনে করেন, অসাধু জেলেরা কোন নিয়ম মানছে না।চরগরা জাল দিয়ে নির্বিচারে সব ধরনের মাছ নিধন করছে। মৎস্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনকে তথ্য দিলেও নানান অজুহাতে তারা ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম বলেন,চরগরা ও কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন জালের খবর পেলেই সেখানে লোক পাঠানো হচ্ছে। আমরা যাওয়ার আগেই তারা খবর পায়। তাছাড়া চরের জাল পাতলেও সেটা উঠানোর জন্য স্থানীয় লেবার পাওয়া যায় না। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনার তুমপা জানান,এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আনা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ১:২৭ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি