দীর্ঘ চার বছরের প্রেমের পর এবার বিয়ের দাবীতে প্রেমিক জুয়েলের বাড়ীতে অবস্থান নিয়েছে প্রেমিকা। নীলফামারীর ডোমারের বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের ১৮বছর বয়সী প্রেমিকা পাশর্^বর্তী পৌরসভার উদয়ন পাড়া এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী আতাউর রহমানের ছেলে প্রেমিক জুয়েল রহমান (২৪) এর বাড়ীতে গত ৩০ অক্টোবর রাত থেকে অবস্থান করছেন।
এদিকে প্রেমিকা বাড়ীতে আসার খবর পেয়ে প্রেমিক জুয়েল রহমান বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। এরপর মেয়েটি রাতে প্রেমিকের বাড়ীর ভিতরে অবস্থান নিলে জুয়েলের পরিবারের লোকজন প্রেমিকাকে মারধর করে বাড়ীর বাইরে বের করে দিয়ে, বাড়ীতে তালা লাগিয়ে সটকে পড়েন তারা। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলছেন, একটি মহল টাকা নিয়ে মেয়েটিকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রেমিক জুয়েলের বাড়ীতে কেউ না থাকায় শীতের রাতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই এলাকার মহিলা কাউন্সিলর নাছিমা আক্তার তার বাড়ীতে মেয়েটিকে নিয়ে যায়।
গত বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে জুয়েল ইসলামকে বিয়ে করার দাবীতে অবস্থানরত প্রেমিকার সাথে কথা হলে তিনি জানান, দীর্ঘ চার বছর ধরে জুয়েল রহমানের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। তার সাথে আমার বহুবার শারীরিক সম্পর্ক হওয়ার এক বছর পূর্বে আমি গর্ভবতী হই। জুয়েল বিয়ের আশ্বাসে সে আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে। কিছুদিন ধরে আমি তাকে বিয়ে করার জন্যে বললে, সে কালক্ষেপণ করে। আমাকে বিয়ে করার কথা জুয়েলের পরিবারকে জানাতে আসলে, সে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। তাই আমি তার বাড়ীতে অবস্থান নিয়েছি। জুয়েল আমাকে বিয়ে না করলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করবো।
এব্যাপারে জুয়েলের বাবা আতাউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মেয়েটি মামলা করলে করুক। আমাদের তো আর ফাঁসি হবেনা। যে প্রেম করেছে তার সাথে সে বিয়েতে বসুক। মুঠোফোনে জুয়েলের সাথে কথা হলে প্রেমিকার সাথে তার চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও অন্য বিষয়ে কথা বলতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।
ডোমার থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মাসুদ করিম ঘটনাটি শুনেছি বলে নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।