মোঃ মোশফিকুর ইসলাম, নীলফামারীঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটির ১নং ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়া থেকে চিলাহাটি মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয় যাতায়াতের রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার ও ইট বিছানোর কাজ না হওয়ায় রাস্তাটি অচল হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অথচ কর্তৃপক্ষের এদিকে কোনো নজর নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাস্টারপাড়া থেকে চিলাহাটি মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয় প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তাটির মধ্যে ১কিলোমিটারে ইট বিছানো হয়। কিন্তু বাকি অংশের এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার ও ইট বিছানোর অভাবে বিভিন্ন স্থানে ছোটবড় গর্তে সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার সাথে পুকুর থাকার কারণে রাস্তা ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে। আবার সামান্য বৃষ্টিতে কাদাপানি অতিক্রম করে গন্তব্যে স্থানে পৌঁছাতে হয়। ফলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে শত শত ছাত্র-ছাত্রী ও মানুষ জন। একটি মাত্রই পথ এই পথ দিয়ে যেতে হয় কলেজ, স্কুল ,মাদ্রাসা, মেডিকেল , ইত্যাদি জায়গায়। এবং পাশে জামে মসজিদ ,চিলাহাটি বাজার যাতায়াতের একমাত্র পথ। তাছাড়া ও জনবহুল ৯টি গ্রামের সাধারণ মানুষ, কৃষকের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত, কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং রোগীদের যাতায়াতে যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে এ রাস্তা। রাস্তার উভয় পাশে অন্তত ৬টি পুকুর থাকায় বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ভেঙ্গে পড়ছে এবং রাস্তা সরু হয়ে গেছে তেমনি রাস্তাটির অনেক জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তারপরও রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন পিকআপ ভ্যান, অটোরিকশা, ভটভটি, মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে।
কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ এ রাস্তা কবে সংস্কার ও ইট বিছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ হবে এ নিয়ে শঙ্কিত রয়েছে এলাকাবাসী। কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর দাবি অচিরেই যেন এই ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার ও ইট বিছানোর কাজ দূরত্ব শুরু করা হয়। রাস্তাটিতে ইট বিছানো হলে, হাজার হাজার মানুষের দুঃখ কষ্ট দূর হবে।
স্থানীয় কিছু মানুষের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এই রাস্তাটি কি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের চোখে পড়ে না। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কাঁদা দিয়ে ভরে যায়। রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা যায় না। এলাকাবাসীর দাবি অচিরেই যেন রাস্তাটি সংস্কার বা ইট বিছানোর কাজ শুরু করা হয়।
এ প্রসঙ্গে ১ নং ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একরামুল হকের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।