রাজধানীর পর দেশের বিভিন্ন স্থানেও ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু। অন্তত ১৫ জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগ সম্প্রতি ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে গেছেন বলে জানিয়েছেন রোগীর স্বজন ও চিকিৎসকরা। তবে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এদিকে, কোরবানির ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের কারণে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবার আশঙ্কা প্রকাশ করে আক্রান্ত রোগীদের যার যার বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
রাজধানী ঢাকা ছাড়াও গেলো কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানেও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এতে জনমনে বিরাজ করছে আতঙ্ক।
গাজীপুরে ৭৩ জন, বগুড়ায় ৪৯ জন, ফেনীতে ২৬ ও চাঁদপুরে ২৩ জন আক্রান্ত হয়েছে এরই মধ্যে। এছাড়া নওগাঁ, যশোর, শেরপুর ও বরগুনায় আরো অর্ধশত মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বেশিরভাগ রোগীই রাজধানী ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে নিজ জেলায় যান।
বরিশালে রোববার আরও ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত ১৬ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৪২ জন রোগী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
কিশোরগঞ্জে এ পর্যন্ত ৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। জায়গা সংকটে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, মশারি ছাড়াই একই বেডে অন্য রোগীর সঙ্গে রাখার অভিযোগ রয়েছে স্বজনদের। তবে শিগগিরিই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান।
রংপুরে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ জন এবং ঢাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ জন। আক্রান্তদের রংপুর মেডিকেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহে মানিকগঞ্জে ১৭ জন রোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ঝিনাইদহেও ১৫ দিনে ১২ জন রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গুর জীবাণু মিলেছে। ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও আতঙ্কিত না হতে জনসাধারণকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।