চলতি জুলাই মাসে ঢাকাসহ প্রায় সারা দেশে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু। পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাজধানীর অধিকাংশ হাসপাতাল।
গতকাল শনিবার (৮ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ডাক্তার, নার্স ও বেড সংকটে ভেঙে পড়েছে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা। বেডের অভাবে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে মেঝেতে।
সারাদেশেই ব্যাপকভাবে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ময়মনসিংহ, বরিশাল, নড়াইল ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় বেড়েছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।
রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে ১ হাজার ৮৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬৯০ জন। শনিবার মুগদা হাসপাতালে ভর্তি ছিল ৩৪৬ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২৪, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ১৭০, শিশু হাসপাতাল ইনস্টিটিউটে ৩৮, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৫, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৭১, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৫০ এবং ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কভিড হাসপাতালে ২০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এছাড়া সেন্ট্রাল হাসপাতালে ৩১ জন, গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ৩১ জন, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল কাকরাইল শাখায় ৬১ জন, আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৬ জন এবং আজগর আলী হাসপাতালে ৬৪ জন ভর্তি আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শনিবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮২০ জন, মারা গেছেন দুজন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬০৩ জন ও ঢাকার বাইরের ২১৭ জন।
এবছর ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২ হাজার ১১৮ জন। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮ হাজার ৫৭৪ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৫৪৪ জন। একই সময়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৯ হাজার ৫৪৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৬ হাজার ৭৫০ জন এবং ঢাকার বাইরের ২ হাজার ৭৯৯ জন।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৭ জন। এর মধ্যে চলতি মাসের আট দিনেই মারা গেছেন ২০ জন। এডিস মশা নির্মূলে গত শুক্রবার থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন শুরু হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আজ রোববার (৯ জুলাই) খুলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় ডেঙ্গুভীতি নিয়েই ক্লাসে যাবে শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকবে কোমলমতি শিশুরা।
সরকারি তরফ থেকে বলা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। ছুটির শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খোলার আগে ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন