বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্কঃ চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিটের দিকে ৪৬৬০ নিরিয়াস নামের একটি গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ ঘেঁষে আবার উল্টো দিকে ফেরা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন মহাকাশ গবেষকরা। সে সময় গ্রহাণুটি ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৭০০ মাইল বেগে ধেয়ে যাবে। ৪৬৬০ নিরিয়াস নামের গ্রহাণুটির উচ্চতা ১ হাজার ৮২ ফুট যা ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত আইফেল টাওয়ারের উচ্চতার (১০৬০ ফুট) থেকে একটু বেশী।
এটি প্রথম ১৯৮২ সালে খুঁজে পান মার্কিন জ্যোতির্বিদ এলিয়ানর হেলিন। প্রায় ৪০ বছর পরে ২০৬০ সালে এটি পৃথিবী থেকে ৭.৫ লাখ মাইল দূরে থাকবে। গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে কয়েক মিলিয়ন মাইল দূরে আসার পরই শক্তিশালী টেলিস্কোপে একে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার রাডারে ধরা পড়েছে ৪৬৬০ নিরিয়াস।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মুহূর্তে পৃথিবী থেকে প্রায় আড়াই মিলিয়ন মাইল দূরে থাকায় এটি তেমন কোনো ঝুঁকি তৈরি করবে না। তবু নাসা সেটিকে ‘আশঙ্কাজনকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ গ্রহাণু’র কাতারে ফেলেছে। বিশেষ করে গ্রহাণুটির আকার পৃথিবীর ‘পাশ কাটিয়ে’ যাওয়ার গতিপথ জানার পর।
উল্লেখ্য, আকারে ১০০ মিটার বা তার চেয়ে বড় গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে এমন আশংকা প্রতি ১০ হাজার বছরে একবার হতে পারে বলে মনে করেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। যার ফলে ৪৬৬০ নিরিয়াস নামের গ্রহাণুটির দ্বারা পৃথিবীর ক্ষতির সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেও চলে। এখন পর্যন্ত জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর ‘নিকটবর্তী’ প্রায় ২৭ হাজার গ্রহাণু পর্যবেক্ষনে রেখেছেন যেগুলো ১ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বড় আকারের।