ধর্ষনের ঘটনা নিয়ে বেশ হৈচৈ হয়ে গেছে দেশে। বিচারের দাবীতে মানূষ রাস্তায় নেমেছে। ধর্ষকদের ফাঁসি চেয়ে মিছিল করেছে। সেই মিছিলে যোগ দিয়ে জ্ঞানতাপসিরা সরকারের পতন চেয়েছে। জনগনের দাবীর সমর্থনে সরকার অপরাধীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে। ঘোষনা করেছে অপরাধী যে’ই হউক রেহাই পাবেনা। দলীয় পরিচয়ও বিবেচ্য হবেনা। সেটাই হয়েছে, ছাত্রলীগের পরিচয়ধারী হয়েও গ্রেপ্তার এড়াতে পারেনি। সদ্য ধর্ষনের সাজা মৃত্যুদন্ড পাশ হয়েছে। ধর্ষক যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের ফাঁসি হবে এমনটাই আশা করছে দেশের মানূষ। নতুন আইন পাশ করে সরকার যেমন জনগনকে দেওয়া অঙ্গীকার রক্ষা করেছে, জনগনের প্রত্যাশাটিও পুরন হয়েছে। এটাই সরকারের যোগ্যতা এবং জনগনের কাছে সরকারের গ্রহনযোগ্যতা। ডা, জাফরউল্লাহ এখন দাবী করছেন নির্বাচনের। নির্বাচন দিলেই নাকি ধর্ষন বন্ধ হয়ে যাবে! তাহলে কি জাফরউল্লারাই ধর্ষন করাচ্ছেন? নির্বাচন দিলেই ধর্ষন বন্ধ হয়ে যাবে তিনি জানেন কিভাবে? নির্বাচন হলে জাফরউল্লারা কাকে ক্ষমতায় বসাতে চান? দীর্ঘদিন ধরেই ডা, জাফরউল্লাহ বি এন পি’র সাথে সম্পৃক্ত। দেশের নানা বিষয়েই তিনি হঠাৎ বোমা ফাটান। সম্প্রতি বি এন পি নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি বি এন পি’কে পরামর্শ দিয়েছেন দলের নেতৃত্ব বদলের। গত নির্বাচনে ড, কামাল হোসেনকে নিয়ে রাজনীতি পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন ডা, জাফরউল্লাহ। বি এন পি জামাতকে একজোটে রেখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়েছিলেন। কিন্তু ডাক্তারি আর রাজনীতি এক নয়। কথাটি ডা, জাফরউল্লা ভালভাবেই টের পেয়েছেন। ড, কামাল হোসেনও দলভেঙ্গে এখন নিঃস্ব। দেশে কোন দলটি এখন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ডাক্তার সাহেবদের মনের খায়েশ পুর্ন করতে পারবে! তাহলে কি তারা অন্যকোন ইশারা পেয়েছেন?
দেশে একটা ষড়যন্ত্র চলছে। কারা কারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত জানিনা। বিদেশে প্রচারনা চালাচ্ছে বি এন পি- জামাতের এজেন্টরা। দেশে একটা গন্ডগোল বাধিয়ে প্রভুশক্তির পছন্দের সরকার গঠন করাই তাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশের উন্নয়নে ইর্ষাণ্বিত অনেক রাষ্ট্র। শেখ হাসিনা এখন বিশ্বসভাতেও মডেল নেতা। একটি দরিদ্র দেশকে কিভাবে উন্নত দেশে পরিবর্তন করতে হয় তা শেখ হাসিনা করে দেখিয়েছেন। এই উন্নয়ন ডা, জাফরউল্লাদের পছন্দ নয়। তাদের পছন্দ অন্যকিছু। বিষয়টি এখন জনগনও জানে। জনগনকে বোকা বানিয়ে রাজনীতি করার দিন বহু আগেই শেষ হয়েছে। বর্তমান সরকার দলের নেতা-কর্মীদের ছাড় দেয়নি। কোন দলের নেতারাই অন্যায় করে ছাড় পাবেনা। অসৎ রাজনীতিও আর প্রতিষ্ঠা পাবেনা। বয়সের কারনে ডা, জাফারউল্লাহ বা ড, কামাল হোসেনরা আর এগুতে পারবেন মনে হয়না। স্ব স্ব অবস্থানে তারা সম্মান কুড়িয়েছেন, সেই সম্মান অটুট থাকুক এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। অসংলগ্ন কথা না বলাই ভাল।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরন্টো, কানাডা
১৬ অক্টোবর ২০২০।