স্পোর্টস ডেস্কঃ বাংলাদেশের ব্যাটিং দৈন্যকে কাইল মেয়ার্সের সাবলীল সেঞ্চুরি আরও স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুলেছে। বোলাররাও ধারবাহিকভাবে থাকতে পারছেন না আঁটসাঁট করে। সবমিলিয়ে চলমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে টাইগাররা। আর তাই প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর মনে হচ্ছে প্রতিপক্ষ যেন শাস্তি দিচ্ছে তাদের।
অ্যান্টিগার ড্যারেন স্যামি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় শেষে চালকের আসনে স্বাগতিকরা। কাইল মেয়ার্সের সেঞ্চুরিতে তাদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটে ৩৪০ রান। এরই মধ্যে তারা নিয়েছে ১০৬ রানের লিড। মেয়ার্স ১৮০ বলে ১২৬ রানে ক্রিজে আছেন। তার সঙ্গী জশুয়া ডা সিলভা খেলছেন ১০৬ বলে ২৬ রানে।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে টস হেরে মাত্র ২৩৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষদিকে দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও ইবাদত হোসেন ব্যাট হাতে ভূমিকা না রাখলে দুইশ পেরোনো হতো না তাদের। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিলেও সেই আশা থাকে না।
এদিকে ব্যাটিং নিয়েই বেশি চিন্তিত ডমিঙ্গো বলেন, ব্যাটিং ও বোলিং নিয়ে এই মুহূর্তে কঠিন সব প্রশ্ন রয়েছে আমাদের। কারণ, এটা কোনোভাবেই ২৫০ রানের উইকেট নয়। শেষদিকে ৩০ রানের ওই জুটি না হলে আমরা ১৯০ রানে অলআউট হতাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দেখিয়ে দিচ্ছে, কেন তারা এই সংস্করণে আমাদের চেয়ে ভালো। ওদের একজন সেঞ্চুরি করেছে। ওরা বড় স্কোর করছে। বোলিংয়ে ওরা জুটি গড়ে খেলেছে, ব্যাটিংয়েও জুটি গড়ে লম্বা সময় উইকেটে থেকেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর টেস্ট অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে হতাশায় পুড়িয়েছিলেন মেয়ার্স। আর তাই মেয়ার্সকে দেখে শিক্ষা নেওয়ার কথা তুলে তিনি বলেন, মেয়ার্সের মতো ১২০ রানের ইনিংস খেলতে হবে আমাদের কারও। গত বছর ওরা আমাদের বিপক্ষে ৪০০ রান তাড়া করেছে চট্টগ্রামে। মেয়ার্স তখন ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। আমাদের কেউ তেমন বড় ইনিংস খেলতে পারছে না। মেয়ার্সকে দেখে শিক্ষা নিতে হবে। টেস্ট ম্যাচ অনেক কঠিন। এরকম ভালো ব্যাটিং ছাড়া ভালো দলগুলো আমাদের শাস্তি দেবে এবং সেই শাস্তি এখন পেতে হচ্ছে।