বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চলতি মাসে ৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, গত মাসের চেয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা কিছুটা কমলেও প্রায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুরা।
গতকাল রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দেখা যায়, বর্তমানে ১০৪ জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শিশু রোগ বিশেষজ্ঞরা এই ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে শিশুদের বায়ু-দূষণ থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি গরম কাপড়ে আবৃত্ত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে চিকিৎসাধীন ছিল দেড় শতাধিক শিশু। আজ ১০৪ জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের প্রত্যেকেই জ্বর, সর্দি, কাশী, নিউমোনিয়া, খিচুনী, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। ভর্তি হওয়া শিশুদের বেশীরভাগই গ্রামের।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
শিশুদের অভিভাবকরা জানান, প্রচণ্ড শীতে কাবু হয়ে শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশী, নিউমোনিয়া, খিচুনী, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এজন্য তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেন অভিভাবকরা। কিন্তু হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে তাদের। এতে আরও সমস্যায় পড়ছে শিশুরা।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শীতজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে নভেম্বর মাসে ২৭ এবং ডিসেম্বর মাসে ২৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জানুয়ারী মাসের প্রথম ৯ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৭ শিশুর।
শিশু ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এম আর তালুকদার মুজিব জানান, মেঝেতে রেখে শিশুদের চিকিৎসা অমানবিক। জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে তাদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। শিশুদের যথাযথ চিকিৎসা চলছে। ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে দূরে রাখাতে বায়ু-দূষণ থেকে দূরে রাখা এবং গরম কাপড়ে আবৃত্ত রাখতে হবে।
আন্তঃওয়ার্ড ছাড়াও সরকারি খোলার দিন বর্হিবিভাগে গড়ে চিকিৎসা নিচ্ছে তিন শতাধিক রোগী।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন