ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় ৩ মাস ধরে পারিবারিক কলহের জেরে ৫ টি পরিবারের বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রধান রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন এক প্রতিবেশী। তাদের বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন ওই পাঁচ পরিবারের সদস্যরা। রাস্তা বন্ধ থাকায় চলতি বর্ষায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওই পরিবারগুলি। বর্তমানে অন্যের প্রাচীর টপকে হাঁটু পানি ডিঙ্গিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পরিবারগুলির সদস্যদের। এতে এক প্রকার বাড়িতে বন্দি হয়ে পড়েছেন তারা।
বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে পৌর মেয়রের কাছে এক মাস আগে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, পীরগঞ্জ পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের রঘুনাথপুর খালপাড়া মহল্লায় প্রায় তিন মাস আগে কিশেন দেব, সুমন দেব, সুশিল দেব, দিনেশ দেব ও মৃগরামের সাথে স্বপন দেবের পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এতে বাড়ির চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেয় প্রতিবেশী স্বপন দেবের স্ত্রী ফুলসরি। তখন থেকে জনৈক রেজু’র ইটের প্রাচীর টপকে চলাচল করতে হচ্ছে ওই পাঁচ পরিবারের সদস্যদের। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি জমে থাকায় পরিবারগুলি এরই মধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। চলাচলের রাস্তা বন্ধ থাকায় এখন অন্যের প্রাচীর টপকে হাঁটু পানি ডিঙ্গিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।
ভুক্তভোগী ললিতা রানী জানান, রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় অন্যের জমির প্রাচীর টপকে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে। তাছাড়া বর্ষায় পানি জমায় হাঁটু পানি ভেঙ্গে আসা যাওয়া করতে তারা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে গত ২৮ আগস্ট পৌর মেয়রের কাছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দেন পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হক।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবর রহমান রোববার বিকালে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে মিটমাট করার চেষ্টা করেন কিন্তু ফুলসরি মানছেন না। এ কারণে সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। আবারও চেষ্টা করা হবে,বলে কাউন্সিলর জানান।
পীরগঞ্জ পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হক বলেন, এখনো ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। পেলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
*** আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:২৬ | শুক্রবার ***
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি