ঠাকুরগাঁওয়ে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এদিন সকালে শহরের কালেক্টর স্কুল থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা পরিষদ ডাক বাংলোয় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান শেষে জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম বিডি হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও ১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন।
এসময় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন,পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো,পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবলুর রহমান, মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
✪ আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই : প্রধানমন্ত্রী
এর আগে দিবসের প্রারম্ভে রাত ১২ টা ১ মিনিটে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর ব্যানারে পৌরসভা এলাকার টাঙ্গন নদীর তীরে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোমবাতি প্রজ্বলন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পাশাপাশি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা আসার পর ঠাকুরগাঁও শহরে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে ২৭ ও ২৮ মার্চে শহীদ মোহাম্মদ আলী এবং নরেশ চৌহানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ।
প্রসঙ্গত: ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত হয় ঠাকুরগাঁও। এদিন ভোরে ঠাকুরগাঁও শহরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে বিজয় উল্লাস করে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী উদ্যোমী জনতা।