অনলাইন টিকিটিংয়ের ফলে টিকিটের জন্য এখন আর ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়না রেলপথ যাত্রীদের। ঘরে বসে সহজেই টিকিট সুবিধায় বিড়ম্বনা কমেছে বেশ। শুধু টিকিটই নয় বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে জানা যায় ট্রেনের অবস্থান ও ট্রেন ছাড়ার সময়। ফলে বেশ স্বস্তিতে আছেন ইন্টারনেটে রেলের সেবা গ্রহীতারা। এই সেবাকে আরও বৃদ্ধি করার দাবি রেলপথ যাত্রীদের। টিকিটের জন্য কাউন্টারের সামনে শত শত মানুষের এমন দীর্ঘ লাইন কমলাপুর রেল স্টেশনের চিরচেনা দৃশ্য। ঘন্টার পর ঘন্টা নানান ঝক্কি ঝামেলা সহ্য করতে হয় টিকিট প্রত্যাশীদের। প্রতিদিন মোট টিকিটের ২৫ শতাংশ অনলাইনে বিক্রি করে রেলকর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন অ্যাপ ব্যাবহার করে কোন ঝামেলা ছাড়াই ঘরে বসেই সংগ্রহ করা যায় সেই টিকিট। অনলাইন সেবা গ্রহীতারা বলছেন, কষ্ট কমেছে তাদের। তারা বলেন, এতে আমাদের সময় অনেক বেঁচে যাচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করতে হচ্ছে না। টিকিটের মূল্যও পরিশোধ করা যায় অনলাইনে। টিকিটের মজুদ, প্রাপ্যতা ও আসন সম্পর্কিত সব তথ্য অনলাইনে দেয়া থাকে, ফলে যাত্রীদের সময় বাঁচার পাশাপাশি দুর্ভোগও কমেছে বেশ। শুধু তাই নয়, স্টেশনে বসে কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের অবস্থান, ছাড়ার সময় সূচীও এখন জানা যায় সহজে।এতে বিড়ম্বনা কমেছে এ পথের যাত্রীদের। এক যাত্রী বলেন, আমি যেই ট্রেনে যাব সেটার অবস্থান জানতে চেয়ে এসএমএস দিয়েছিলাম। ফিরতি এসএমএসে আমাকে জানালো, সেটা টঙ্গি থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। রেল সেবাকে আরও গতিশীল যাত্রীবান্ধব করতে আরও উদ্যোগী হওয়ার কথা জানিয়েছেন কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সকল টিকেট এভাবে দেয়া গেলে মানুষ আরও উপকৃত হবেন। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহার করে,যাত্রীদের অত্যাধুনিক সেবা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে সম্প্রতি কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।