মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদিত হয়েছে। বুধবার প্রতিনিধি পরিষদের ভোটে অভিশংসিত ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকতে পারবেন কি না তা চূড়ান্ত হবে সিনেটের ভোটে। মূলত ট্রাম্পের ভাগ্য নির্ধারিত হবে সিনেটে। ইমপিচ হওয়া তৃতীয় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর বিষয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি। সময় সংবাদের পাঠকদের জন্য সে প্রশ্ন ও এর উত্তরগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
উত্তর : এখন পর্যন্ত কিছুই শতভাগ নিশ্চিত হয়নি। তবে শীতকালীন ছুটির পর জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে সিনেট সম্ভবত এ বিচারের ব্যাপারে সাধারণ সম্মতি নেয়া শুরু করবে।
প্রশ্ন : ২০২০ সালের নির্বাচনে কী প্রভাব পড়বে?
উত্তর : এটি আসলে খুবই কঠিন একটি প্রশ্ন – এবং এর উত্তরও আসলে পরিষ্কার না। ডেমোক্র্যাটরা বলছে এ ইমপিচমেন্ট ট্রাম্পের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করবে, যার ফলে ভোটাররা তাকে ভোট দিতে গিয়ে সঙ্কচের মধ্যে পড়বে।
প্রশ্ন : ট্রাম্প অভিশংসিত হয়ে পেন্স প্রেসিডেন্ট হলে তিনি কী আইনগতভাবে ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানিয়ে নিজে পদত্যাগ করতে পারেন?
উত্তর : মার্কিন সংবিধানে এ প্রক্রিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, কাজেই এটি খুবই সম্ভব।
প্রশ্ন : সিনেট যদি ট্রাম্পকে শেষ পর্যন্ত অভিশংসিত নাই করে, তাহলে এ পুরো প্রক্রিয়ার গুরুত্ব কী?
উত্তর : ডেমোক্র্যাটদের বক্তব্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসিত হওয়ার প্রায় কোনোরকম সম্ভাবনা না থাকলেও তারা এ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছে শুধু প্রেসিডেন্টকে তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী করার উদ্দেশ্য থেকে।
প্রশ্ন : নিম্নকক্ষে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হওয়ার পর সাথে সাথেই কী বিচার শুরু হবে, নাকি সিনেটের ভোট দিতে হয়?
উত্তর : আজকের ভোটের ফলে মার্কিন সংবিধান অনুসারে সিনেটে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে, তবে এর মেয়াদ এবং সময় নির্ভর করছে সিনেটের ওপর।
উত্তর : যদি সুনির্দিষ্টভাবে খরচের বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়, তাহলে এটি বলা কঠিন।
প্রশ্ন : ইমপিচ হওয়া প্রেসিডেন্টের বিচার পরিচালনা করেন কে?
উত্তর : মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সাংবিধানিকভাবে সিনেটের ইমিপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার প্রিজাইডিং অফিসার থাকেন। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রধান বিচারপতির দেয়া রায় ১০০ জনের সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিবর্তিত হতে পারে।
প্রশ্ন : সিনেটের কি রাজনৈতিক মতাদর্শ বিবেচনা করে ভোট দেয়া উচিত নাকি স্বাধীন বিচারক হিসেবে ভোট দেয়া উচিত?
উত্তর : প্রত্যেক সিনেটরকে নিজের বিবেকের দ্বারা চালিত হয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তিনি কোনো পক্ষে ভোট দেবেন।