মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক পাকিস্তানি কিশোরী (১৭)। জানা যায়, ধর্ষিতা ওই কিশোরী পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাইওয়েজ রোডের নাগরিক এবং সেখানকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ভিসা নিয়ে মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে প্রথমে অপহরণ ও পরে ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর প্রায় ২০ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচীতে গিয়ে সেখানে ওই দেশের নাগরিক নীলুফার বেগমকে বিয়ে করে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন। গত বছর নভেম্বরে পাকিস্তানী নাগরিক নীলুফার বেগম ৬ মাসের ভিসায় মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি বেড়াতে আসেন। তিনি উঠেন উত্তর গোপালপুর গ্রামের ভাসুর আব্দুল ওয়াদুদের বাড়িতে। তিনি আরও জানান, সেখানে ওঠার পর থেকেই আরেক ভাসুর আবুল হোসেনের ছেলে আল আমিন ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। বেশ কয়েকবার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে পারিবারিকভাবে বিষয়টি ফয়সালার চেষ্টা হয়। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মা-মেয়ের পাকিস্তানে ফেরত যাবার খবর শুনে আল আমীন ক্ষুব্ধ হয়। পরে গত মঙ্গলবার রাতে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
ওসি বলেন, পুলিশ বৃহস্পতিবার ভোরে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দীবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে আল আমীনসহ তিনজনকে আসামি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। ধর্ষকের মাকে গ্রেপ্তার। অভিযুক্ত আল আমীন এবং ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
সূত্র : আর টি ভি