মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-যশোর ঝিকরগাছার চাঞ্চল্যকর খাদিজা বেগম হত্যা মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ছদ্মবেশে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বুধবার সন্ধ্যায় গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার চান্দা কল্যাণপাড়া এলাকার মসজিদের সামনে থেকে আসামিদেরকে গ্রেফতার করেছে। আসামিরা হলেন- ছামাউল হক (৩৫),তার স্ত্রী শেফালী খাতুন (৩০),শ্বশুর রজব আলী(৫০)ও শাশুড়ী ফাতেমা খাতুন(৪০)।ঝিকরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)দেবব্রত দাস জনান, ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও ছদ্মবেশের মধ্যদিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার চান্দা কল্যাণপাড়া এলাকার মসজিদে টুপি পরে ইফতারীতে অংশ নিয়ে আসামি ছানাউল হককে সনাক্ত করি।পরে মসজিদ থেকে তিনি বের হলে তাকে আমি গ্রেফতার করি। গ্রেফতারকৃত ছামাউল হকের স্বীকারোক্তিতে ও স্থানীয় পুলিশের সহযোগীতায় এই মামলার আরো তিন আসামিকে গ্রেফতার করে (বৃহস্পতিবার ৩০শে মে)থানাতে নিয়ে আসা হয়েছে।আসামী ছানাউল হক মামলার এক নং আসামী।তিনি ছিলেন দুবাই প্রবাসী আবারও দুবাই যাওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন রাজধানীর আশে পাশে অবস্থান করছিল।মামলার ৬ জন আসামীর মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বাকী দুই আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য,গত ১১ই মার্চ সন্ধ্যায় ঝিকরগাছা উপজেলার ১নং গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নের গুলবাগপুর গ্রামে ছাগলের লবণ খাওয়াকে কেন্দ্র করে গ্রামের দিনমজুর নবেদ আলীর স্ত্রী খাদিজা খাতুনকে আসামিরা লোহার রড,জিআই পাইপ ও লাঠিসোঠা দিয়ে বেধড়ক পেটাতে পেটাতে ঘর থেকে বারান্দায় নিয়ে আসে।খাদিজা বেগম অচেতন হয়ে পড়লে তারা মৃত ভেবে ফেলে যায়। এসময় এলাকাবাসী ও তার মেয়ে তাকে উদ্ধার করে ওই রাতে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তারা তাকে ঢাকায় রেফার করে। অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে ফরিদপুর পৌছালে খাদিজা বেগমের মৃত্যু হয়।মৃত খাদিজা বেগমের স্বামী ১২ই মার্চ ৬জনকে আসামী করে ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেন। মামলা নং-১৩।এ মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে না পারায় থানায় দুইদফায় তদন্তকারী অফিসারের পরিবর্তন হয়। পরিশেষে এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় এসআই দেবব্রত দাসের উপর।