তিন বছর ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী থাকার পর আজ শুক্রবার পদত্যাগ করেন এদোয়ার্দ ফিলিপ। এর কয়েক ঘণ্টা পরই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মধ্য-ডানপন্থি মেয়র জ্য ক্যাসটেক্স। খবর বিবিসির।
ফ্রান্সে ম্যাক্রোঁর চেয়েও বেশি জনপ্রিয় ছিলেন ফিলিপ। কিন্তু সপ্তাহান্তে স্থানীয় এক নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের নাকানি চুবানি খেতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ একটি ‘নতুন পথের’ প্রতিশ্রুতি দেন।এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করেন ফিলিপ। এসময় ফিলিপ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে সম্মত হন। আসলে এই মন্ত্রিসভায় এই রদবদল প্রত্যাশিতই ছিল। প্রেসিডেন্টের পাঁচ বছরের শাসনামলে প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন করার রীতি রয়েছে ফ্রান্সে।শুক্রবার প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলিসি প্রাসাদ থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে ফিলিপের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সেখানে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের কাছে তার সরকারের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এদোয়ার্দ ফিলিপ এবং প্রেসিডেন্ট তা গ্রহণ করেছেন।৫৫ বছর বয়সী ক্যাসটেক্সের সম্পর্কে খুব একটা পরিচিত নয় ফ্রান্সের মানুষ। তবে দক্ষিণাঞ্চলীয় ফ্রান্সের প্রাদেসের কনজারভেটিভ পার্টির এই মেয়র করোনাভাইরাস মহামারিতে সরকারি প্রতিক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।ম্যাক্রোঁ ও ফিলিপ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করেছেন ক্যাসটেক্সও সেখানে পড়াশোনা করেছেন। এমনকি ফিলিপের মতো ক্যাসটেক্সও ডানপন্থি রিপাবলিকান্স পার্টির সদস্য ছিলেন।