ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়েতে প্রবেশ করার অপরাধে দেশটির কারাগারে নিরানন্দ পরিবেশে নিজের চল্লিশতম জন্মদিন উদযাপন করতে হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলারকে।
সম্প্রতি ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়েতে প্রবেশ করে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন রোনালদিনোহ ও তার ৪৯ বছর বয়সী ভাই। আদালতে জামিন আবেদন করেও লাভ হয়নি। ছয়মাস পর্যন্ত থাকতে হতে পারে জেলে। জামিন পেলে তারা পালিয়ে যেতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন বিচারক।
তদন্তে উঠে এসেছে রোনালদিনহোকে জাল পাসপোর্ট সরবরাহ করেন ডালিয়া লোপেজ নামের এক নারী। ‘অ্যাঞ্জেল ব্রাদারহুড ফাউন্ডেশন’-এর সঙ্গে জড়িত তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে, এসবের আড়ালে ‘মানি লন্ডারিং’ চালান ডালিয়া। প্যারাগুয়ের দুর্নীতি দমন মন্ত্রী রেনে ফার্নান্দেজের নির্দেশে ডালিয়ার বিরুদ্ধে ‘গ্রেফতারি পরোয়ানা’ জারি করেছে আদালত।
বুধবার আদালতে হাজিরা ছিল ডালিয়ার। তার আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কে আদালতে আসেননি ডালিয়া। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে রোগে ভুগছেন তিনি। এমন শারীরিক অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হলে ঝুঁকিতে পড়ে যাবে ডালিয়ার জীবন।
রোনালদিনহোর মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রয়েছে ডালিয়ার কাছে। ব্রাজিলিয়ান তারকার আইনজীবীদের দাবি, রোনালদিনহো কিংবা তার ভাই ভুয়া পাসপোর্টের বিষয়টি জানতেন না। ডালিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে গেছে।
তাতে রোনালদিনহো পড়েছেন বিপদে। আদালত জানিয়েছে, ৬ মাসই জেলে থাকতে হবে তাকে। সঙ্গে নতুন ঝামেলায় পড়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সুপারস্টার।
স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মুন্দো দেপোর্তিভো বলছে, মানি লন্ডারিং চক্রের সঙ্গে রোনালদিনহোর জড়িত থাকার ব্যাপারে তদন্ত করছে প্যারাগুয়ে পুলিশ।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৫ বছরের জেল হতে পারে বার্সেলোনা ও এসি মিলানের সাবেক এই তারকার।