সীমান্ত ঘেঁষা মৌলভীবাজার জেলা। এবার সীমান্তের প্রতিটি প্রান্ত ঘিরে চোরাকারবারিরা জমজমাট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এমন দাপট আর নমুনা সকলের চোঁখের সামনে প্রতীয়মাণ।
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ৫০ কেজি ওজনের ৬০ বস্তা ভারতীয় অবৈধ অনুপ্রবেশের মাধ্যমে চিনিসহ একটি ট্রাক আটক করেছে জুড়ী থানা পুলিশ। এসময় ট্রাক চালককে আটক করা হয়েছে। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার আমতৈল ইউপির কুইয়াছড়া সেতু সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চিনির গাড়ীসহ আটক করা হয়।
এ বিষয়ে জুড়ী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ মিয়া জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলার বড়লেখা-জুড়ী সড়কের আমতৈল ইউপির কুইয়াছড়া সেতু সংলগ্ন এলাকায় গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় একটি মিনি ট্রাকটি চিনি বোঝাইকৃত ৫০কেজি ওজনের ৬০ টি বস্তা ও গাড়িটি আটকানো হয়। চালকের নিকট উক্ত চিনির বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারে নি। বৈধ কাগজপত্র বিহীন চিনিও ট্রাকসহ (চট্ট মেট্রো-ন ১১-৯২৪৬) ও চালককে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চালক খায়রুল ইসলাম (২৭) জানায়, চিনি গুলো ভারতীয়। বড়লেখার একটি সীমান্ত দিয়ে চিনি গুলো দেশে প্রবেশ হবার পর বস্তা বদল করে দেশীয় বিভিন্ন বস্তায় স্থানান্তর করে জেলার বিভিন্ন বাজারে তা বিক্রি করা হয়। জব্দকৃত চিনির বাজার মূল্য তিন লক্ষাধিক টাকা হবে বলে জানা গেছে।
আটককৃত চালক খায়রুল ইসলাম জেলার শ্রীমঙ্গল থানার উত্তর বৌলাছড়া গ্রামের মো. মাসুদ মিয়ার ছেলে। বর্তমানে কুলাউড়া থানার চাতলগাঁও এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করতেন। চিনি চোরাচালান কারবারি ও তার সাথে আরও কয়েকজন কারবারি জড়িত আছে বলে খায়রুল জানায়।
এ বিষয়ে জানতে জুড়ী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশাররফ হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চোরাকারবারিরা ভারত সীমান্ত পার করে অবৈধভাবে ৫০ কেজি ওজনের ৬০টি বস্তা চিনিসহ একটি মিনি ট্রাক গাড়ি পাওয়া যায়। চিনির আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষাধিক টাকা হবে। যাতাযাত কাজে ব্যবহৃত গাড়িটি ও জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এস আই ফরহাদ মিয়া বাদী হয়ে জুড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান