হোটেল-রেস্তোরায় নিয়মিত শ্রমিকের কাজ করে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে শাকিল মিয়া। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালারহাট আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসাবে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। কঠোর পরিশ্রম আর নিরলস প্রচেষ্টায় সাফল্য ছিনিয়ে নিলেও সাংসারিক অভাব অনটনে উচ্চ শিক্ষার আকাঙ্খা ক্ষীন হয়ে আসছে তার। উচ্চ শিক্ষিত হয়ে সরকারী কলেজে শিক্ষকতা করার স্বপ্ন মন-মানষে লালন করলেও অভাবের তাড়নায় তা বাস্তবায়ন হবে কিনা তা জানে না সে।
অদম্য মেধাবী এই শাকিলের বাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা গ্রামে। সে ওই গ্রামের দিনমজুর ফারুক মিয়ার ছেলে। তিন সন্তানের মধ্যে শাকিল বড়। বাবার দিনমজুরীর আয়ে সবসময় সংসারে টানাপোড়েন লেগেই থাকতো। তাই সংসারে সহায়তা করার জন্য পঞ্চম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় বালারহাট বাজারের বিভিন্ন হোটেলে স্কুল ছুটির পর থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করতো শাকিল। এভাবে কাজের পাশাপাশি পড়াশোনা করে পিইসিতে জিপিএ ৫ এবং জেএসসিতে জিপিএ ৪.৬৪ পায় সে।
✪ আরও পড়ুন: দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হরিবল বোনার্জি জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ
কিন্তু নবম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় তাদের সংসারে অভাব আরও জেঁকে বসে। পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করে উপজেলা সদরের বৈশাখী হোটেলে নিয়মিত কাজ নেয় সে। কিন্তু বন্ধ করেনি পড়াশোনা। সারাদিন হোটেলে কাজ করতো আর রাতে বাড়ী ফিরে চালিয়ে যেত পড়াশোনা। এভাবে কঠোর পরিশ্রম করে সাফল্য ছিনিয়ে নেয় অদম্য মেধাবী শাকিল মিয়া।
শাকিল জানায়, বড় হয়ে সরকারী কলেজের শিক্ষক হতে চায় সে। কিন্তু অভাবের তাড়নায় তার সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে কিনা সে জানে না।
শাকিলের বাবা ফারুক মিয়া জানান, আমরা ছেলে হোটেলে শ্রমিকের কাজ করে অনেক কষ্টে জিপিএ ৫ পেয়েছে। কিন্তু তাকে ভাল কলেজে ভর্তি করাতে পারবো কিনা তা নিয়ে দুঃচিন্তায় আছি।