জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারে নিজ কক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহটি বিছানার ওপর পড়ে ছিল। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষিণকভাবে কোনো ধারণা দিতে পারেনি পুলিশ।
রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কক্ষের দরজা ভেঙে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মারা যাওয়া চিকিৎসকের নাম সুলতানা পারভীন। তিনি মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সুলতানা পারভিন গাইনী বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহী বিভাগে। তবে ছুটিতে তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি আবাসিক এলাকায় নিজের ফ্ল্যাটে থাকতেন বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে।
সুলতানা পারভীন অবিবাহিত ছিলেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারের ওই কক্ষে তিনি একাই থাকতেন।
পুলিশ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, শনিবার রাত নয়টা থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত সুলতানা পারভীনকে কেউ দেখেননি। সকাল থেকে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও যাননি। বিকেলের দিকে সবার সন্দেহ হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ফজলুল হকসহ কয়েকজন চিকিৎসক ওই কোয়ার্টারে যান। তারা কক্ষের দরজায় অনেক ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাননি। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ কক্ষের দরজা ভেঙে ওই চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করে।
মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন, সুলতানা পারভীন কোয়ার্টারের ওই কক্ষে একাই থাকতেন। গতকাল তার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। তবে তিনি জামালপুর শহরের বেসরকারি হজরত শাহজামাল (রহ.) জেনারেল হাসপাতালে রোগী দেখেছেন। রাত নয়টার দিকে ওই হাসপাতালের গাড়িতে করে তাকে কোয়ার্টারে নামিয়ে দিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তাকে আর কেউ দেখেননি।
মো. ফজলুল হক বলেন, সন্ধ্যায় কক্ষের দরজা ভেঙে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। তার মরদেহ বিছানার ওপর পড়ে ছিল। মুখমণ্ডল অনেক কালো ছিল।
মেলান্দহ থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম খান বলেন, কক্ষের দরজা ভেঙে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে ওই চিকিৎসকের মরদেহ বিছানায় পড়ে থাকা অবস্থায় পায়। তার শরীরের কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। প্রাথমিকভাবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।