১২ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার ।
প্রদীপ কুমার দেবনাথ।
এমপিও ভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের নির্ভরযোগ্য সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ঘোষিত মানববন্ধন ও আলোচনা সভা শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও উপস্থিতির মধ্য দিয়ে আজকের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত কর্মসূচিটি বেলা ১১ ঘটিকায় হওয়ার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের ১ ঘন্টা পূর্বেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষকগণের অংশগ্রহণে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের স্থান পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বর্তমান বাজেটে আশাহত শিক্ষকগণ জাতীয়করণের দাবিতে উত্তাল হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মানববন্ধন পরিপূর্ণ জনসভা হয়ে উঠে। শিক্ষক, সংবাদকর্মীদের এমন উপস্থিতি সাধারণত খুবই দূর্লভ। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, লাখাই, নাসিরনগর, আশুগঞ্জ, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর, হুমনা, দেবীদ্বার, কুমিল্লা, মুরাদনগর, কসবা, কটিয়াদি, কিশোরগঞ্জ, নিকলী, পাকুন্দিয়া, ভৈরব, বেলাব, নরসিংদী সদর, পলাশ, মনোহরদী, শিবপুর, ভালুকা, নান্দাইল, নেত্রকোনা, পিরোজপুর, দিনাজপুর, যশোর, ফেনী, নোয়াখালী, বান্দরবান, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, আড়াইহাজার, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ সহ প্রায় সকল জেলা/উপজেলার শিক্ষকগণ উপস্থিত হন। মানববন্ধনে আলোচনা চলাকালীন বক্তারা এই ঈদের পূর্বেই পূর্নাঙ্গ ঈদ বোনাস ও চাকরি জাতীয়করণের দাবী জানান। বক্তারা বর্তমান বেতনে একজন শিক্ষকের পরিবার কত দৈন্যদশার মধ্যে কাটে তা ব্যাখ্যা করেন। সভায় বাশিস সভাপতি নজরুল ইসলাম রনি, মহাসচিব মেজবাহুল হক প্রিন্স, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবুল হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মোকাররম হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার দেবনাথ, আব্দুল হাকিম, প্রশান্ত কুমার সরকার প্রমূখ বক্তৃতা রাখেন। পরে বাশিস সভাপতি নজরুল ইসলাম রনির সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে যত দ্রুত সম্ভব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।