বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় জনসেবায় অবদান রাখার জন্য জাতিসংঘের সম্মানজনক পুরস্কার পেয়েছ। ই-নামজারি (ই-মিউটেশন) উদ্যোগ বাস্তবায়নের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ইউনাইটেড ন্যাশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ শীর্ষক এই পুরস্কার অর্জন করেছে মন্ত্রণালয়টি।
শুক্রবার (৫ জুন) ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যু জেনমিন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাকে পাঠানো চিঠির বরাত দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমি মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিকে লেখা ওই চিঠিতে ল্যু জেনমিন বলেন, জনস্বার্থে সেবার অসামান্য অর্জনে বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ আপনার দেশে জনপ্রশাসনের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। ই-নামজারি সেবা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা ও উৎহ হিসাবে কাজ করবে।
স্থানীয়, জাতীয় ও বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের জন্য সেবার গুণগত মান ও উৎকর্ষ উদযাপনের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ রেজ্যুলেশন নম্বর ৫৭/২৭৭-এর মাধ্যমে ২৩ জুনকে ‘জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। প্রতিবছর যথাযোগ্য আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে জাতিসংঘ দিবসটি উদযাপন করে। এ উপলক্ষে বিশ্বজুড়ে সরকারি খাতে গৃহীত উদ্ভাবনী উদ্যোগকে পুরস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ এ বছর পাবলিক সার্ভিস পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে। জাতিসংঘ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইনে বিভিন্নমুখী প্রচার কার্যক্রমের মাধ্যমে এই পুরস্কার বিজয়ের বিষয়টি তুলে ধরার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এর আগে, ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে সারাদেশে (তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে) শতভাগ ই-নামজারি বাস্তবায়ন শুরু হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষ উপলক্ষে এ বছরের ১৭ মার্চ থেকে নামজারির জন্যে কোনো ম্যানুয়াল আবেদন গ্রহণ না করার ব্যাপারেও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সে অনুযায়ীই কাজ হচ্ছে।
বর্তমানে দেশের ৪৮৫টি উপজেলা ভূমি অফিস ও সার্কেল অফিস এবং ৩৬১৭টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ই-নামজারি বাস্তবায়ন হচ্ছে। সেবা শুরুর পর থেকে মে মাস পর্যন্ত ১৫ লখ ৫৮ হাজার ৭৭০টি আবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৫৮৮টি আবেদন অনলাইনে নিষ্পত্তি হয়েছে। ই-নামজারির মাধ্যমে সেবা গ্রহণের সময় ও খরচও কমে যাওয়ায় নাগরিক সন্তুষ্টি বাড়ছে বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
ডিজিটাল বাংলা নিউজ/ ডিআর/এমআরবি