কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু সইতে না পেরে বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে বোন নাজা বেগম (১৮) আত্মহত্যা করেছে। গত সোমবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বিকেলে পানিতে ডুবে মারা যায় তার ছোট ভাই নিরব মোল্লা। নিরব মোল্লা ও নাজা বেগম ভৈরবের পৌর এলাকার চন্ডীবের গ্রামের মোল্লা বাড়ির বাছির মিয়া সন্তান। তাদের মধ্যে নিরব স্থানীয় ব্রু-বার্ড কিন্ডারগার্টেন এর ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল আর নাজা বেগম ভৈরব রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে নিরব মোল্লা ফুটবল খেলতে বাড়ির পাশে মাঠে যায়। খেলার সময় ফুটবলটি পাশের জলাশয়ে পড়ে গেলে নিরব সেটি তুলে আনতে জলাশয়ে নামে। এ সময় সে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শোক সইতে না পেরে বড় বোন নাজা বেগম বাড়ির তিন তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধোর করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। এরপর ঢাকায় আনার পথে নারায়ণগঞ্জের ভুলতার কাছাকাছি এল মৃত্যর কোলে ঢলে পড়ে নাজা বেগম।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
নিহতদের চাচা নাছির মোল্লা বলেন, আমার ভাতিজা পানিতে ডুবে মারা যায়। এ খবর পেয়ে ভাতিজি আত্মহত্যা করে। বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। কেউ মারা গেলে চিকিৎসকরা তাকে জীবিত করতে পারবে না। তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, নিহতের স্বজনরা চিকিৎসকসহ চারজন মারধর করে আহত করেছেন। ইতোমধ্যে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি