বিচারপতি সৈয়দ দস্তগীর হোসেন বলেছেন, ছাত্র-জনতা এগিয়ে না এলে আমরা যে গর্তে ছিলাম, সেখানেই পড়ে থাকতাম।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে সিআরডিএপি অডিটোরিয়ামে হওয়া এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ দস্তগীর হোসেন বলেন, আমরা একজনের কথায় উঠা বসা করতাম। সোনার বাংলাকে তামা বানায় দিয়ে গেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে বলবো সংস্কার কমিটি আর বাড়ায়েন না, সবাই একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেন। কমিটি করে কিছু হবে না।
এদিকে সেমিনারে অংশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, রায়ের তোয়াক্কা না করে নিজের সিদ্ধান্তে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ বাতিল করে দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা হয়নি। শুধু তোষামোদি হয়েছে। বিচার বিভাগ ও সংসদ ভূমিকা হারিয়েছিল। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করা অত্যন্ত জরুরি। স্বাধীন বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও মিডিয়া দরকার।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সংবিধানের ১১৬ নম্বর অনুচ্ছেদ পুর্নবহাল করতে হবে। এছাড়া সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদও সংশোধন করতে হবে। তবেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আসবে। সংস্কারের উদ্দেশ্যেই এটি করা দরকার বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই বিচারপতি।
বিচারপতি মতিন আরও বলেন, সব অধিকার সংবিধানে লেখা থাকে না। কিছু অধিকার সব কিছুর উর্ধ্বে, ছাত্ররা এবার বিপ্লবে তাই প্রয়োগ করেছে। মিডিয়াকে কুক্ষিগত করা হয়েছিল। মিডিয়াকে হত্যা করতে সাইবার সিকিউরিটি আইন করা হয়েছিল।
এসময় ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে কুক্ষিগত করা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিচারবিভাগ স্বাধীন ছিল না উল্লেখ করে মাহফুজ আনাম বলেন, বিচারবিভাগ ক্ষমতাসীনদের আজ্ঞাবহ ছিল। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করা অত্যন্ত জরুরি।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম