চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। পিএসজির স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিলো বাভারিয়ানরা। একাধিক সুযোগ নষ্ট করার খেসারত দিতে হলো ফরাসি ক্লাবটিকে। কিংসলে কোম্যানের একমাত্র গোলে ৭ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বপ্নিল ট্রফি উঁচিয়ে ধরল বায়ার্ন।
কখনও কখনও ইতিহাস জয়ীদের গল্পটাতো এমনই খ্যাপাটে হয়। যেখানে উল্লাসটা হয় বাঁধনহারা। চিৎকার হয় গগন বিদারী। উন্মাদনার রং পাল্টায় ক্ষণে ক্ষণে।
এ যেন আরেক বসন্ত। জার্মানদের পুনরুত্থানের আরেক উপাখ্যান। হেক্সা জয়ের স্বাদ তো এমনই মধুর। যে স্রোত লিসবন ছাপিয়ে পৌঁছে গেল, সুদূর মিউনিখে। বিপরীতে পিএসজি যেন ডানা ভাঙা পাখি।
ভাগ্য সবসময় থাকে সাহসীদের পক্ষেই। সেটার-ই আরও একবার প্রমাণ, মিউনিখের তরুণ সেনানী কিংসলে কোম্যান জাদুতে। ডি বক্সের মধ্যে ৫৯ মিনিটের তার এই হেড, গড়ে দিলো সব হিসাব নিকেশ। স্তাদিও দ্যা লুজ ভাসলো লাল আতশবাজিতে।অথচ শুরুর গল্পর শুরুটায় যেন নীল উৎসব। প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে খেলায় রাশটা ছিল প্যারিসিয়ানদের হাতেই। বাভারিয়ানদের ৪-২-৩-১ ফর্মেশনের বিপরীতে পিএসজি ছক ৪-৩-৩।
১৪ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে এ- কি করলেন ড্রিম বয় এমবাপ্পে। রিপ্লে দেখে হয়তো নিজেই হাসবেন তিনি। সে আক্ষেপ ছাড়িয়ে গেছে এর মিনিট চার পরে নেইমারের হাস্যকর মিস।
পাল্টা আক্রমণে লেভানডস্কি ২২ মিনিটে বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন তিনি এই সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। বায়ার্নের হাপিত্যেশ বাড়ায় সাইডবার।
প্লে মেকার রোলে ডি মারিয়া ছিলেন দুর্দান্ত। তবে ফাইনালের উত্তেজনা থেকেই কিনা বল পাঠালেন আকাশ পানে।
এরপর কিছুটা সময় খেলা হয়ে পরে পানসে। তবে প্রথমার্ধের শেষার্ধে বায়ার্নের ভুল পাসের ভুলটা কাজে লাগাতে পারেননি এমবাপ্পে। ফলে ৪৫ মিনিট শেষ হয় গোলশূন্য।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর গল্পটাতো বলা হয়েছিল আগেই। মাঝে পিএসজি সমর্থকদের জ্বালা বাড়িয়েছে ব্যাকপাস আর ম্যারমেরে ফুটবল।
১৯৮৯ তে ভেঙে ফেলা হয়েছিলো বার্লিনের দেয়াল। তবে এদিন জার্মানদের দেয়াল হয়ে ছিলেন একজন ম্যানুয়েল নয়ার। ৬৯ মিনিটে বাভারিয়ানদের ত্রাতা হন তিনি।
যোগ করা সময়ে মিসের মহড়ায় আবারো নাম লেখান নেইমার। ফলে স্বপ্ন চূর্ণ হলো পিএসজির, অধরাই রইলো ইউরোপ সেরার ট্রফিটা।
এ জয়ে আরও একটা রেকর্ডে ভাগ বসালো মিউনিখের রাজারা। আর তা হলো লিভারপুলের সঙ্গে সমান ৬ শিরোপায় তারা উঠে গেল ইউরোপ সেরার তালিকার তিন নম্বরে।