চৌগাছা প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছায় প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে এক ব্যক্তিকে মারাত্মক জখম করার ঘটনায় আজও কোন আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা আহত ইন্তাজ আলী সেদিনের ঘটনা মনে করে আতকে উঠছেন। ভুক্তভোগীর পরিবারের সকল সদস্য ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছেন।
গত ২৩ আগস্ট শুক্রবার বিকালে চৌগাছা পৌর এলাকার বেলেমাঠ গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে ইন্তাজ আলীকে (৪০) দুর্বৃত্তরা গাছি দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। উপজেলার বাঘারদাড়ি গ্রামের আইনাল মাস্টারের ছেলে জসিম উদ্দিন ও জামলতা গ্রামের মৃত বারিক সরদারের ছেলে মজনুর রহমান প্রকাশ্যে দিবালোকে এই হামলা চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। মারাত্মক জখম অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা হাসপাতালে পরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনার পরের দিন আহতের পিতা আব্দুল মন্ডল বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। আসামিরা হলেন বাঘারদাড়ি গ্রামের আইনাল মাস্টারের তিন ছেলে জসিম উদ্দিন, বাবুল আক্তার ও তাজুল ইসলাম ওরফে তাজু এবং জামলতা গ্রামের মৃত বারিক সরদারের ছেলে মজনুর রহমান। এ ঘটনার সপ্তাহ পার হতে চললেও হামলার সাথে জড়িত কোন আসামি আজও আটক হয়নি।
এদিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন হামলায় আহত ইন্তাজ আলী। গতকাল বুধবার তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, গাছি দার তিনটি কোপ ঘাড়ে, পিঠে ও কোমরে মারাত্মক ক্ষত তৈরি করেছে।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ রিফাত খান রাজিব বলেন, মামলার প্রধান আসামি জসিম উদ্দিন ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছে। অপর তিন আসামি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। জসিম উদ্দিনকে আটকে পুলিশ তৎপর আছে। দ্রুত তাকে আটক করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।