চৌগাছা প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছা উপজেলার পল্লীতে ধর্ষণের শিকার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ৫ বছরের শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তার অবস্থা এখনো গুরুতর। শরীরে ইনজুরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছেন। পুলিশ এখনো ধর্ষক শিব রায়কে আটক করতে পারেনি।
যশোর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (গাইনি) ডা. নার্গিস আক্তার বলেন, তার শরীরের বিশেষ স্থানে ক্ষত হয়েছে। সেখানে ৩টি ছোট সেলাই দেয়া হয়েছে। তবে রক্তরণ হয়েছে বেশি। এ কারণে ৫ বছরের ওই শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
গত শনিবার রাত পৌনে ৭টার দিকে ধর্ষিত হিসেবে শিশুটিকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধর্ষণের আলামতও পাওয়া গেছে। শিশুটির বাড়ি চৌগাছা উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়নের দেবালয় গ্রামে। তার মাতা জানিয়েছেন, তিনি বাড়ির পাশে মন্দিরে জন্মাষ্টমীর পূজা দেখছিলেন। তার শিশুকন্যা জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান দেখে বাড়িতে ফেরার সময় অষ্টম শ্রেণিতে পড়া শিব রায় (১৫) তার পিছে পিছে আসে। মেয়েটি যখন ঘরের খাটের ওপর শুয়ে টেলিভিশন দেখছিল। বাড়িতে কোন লোক না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী সুকুমার রায়ের পুত্র শিব রায় ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির কান্না শুনে তার কাকী দৌঁড়ে যায়। এ সময় ধর্ষক শিব রায় পালিয়ে যায়। ধর্ষণের পর তার শরীর থেকে প্রচন্ড রক্তরণ হতে থাকে।
প্রাথমিকভাবে তাকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এরপর রাত্রে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিশেষজ্ঞ গাইনি চিকিৎসক শিশুটিকে চিকিৎসা দেন। শিশুটির মা আরও জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ধর্ষকের বিরুদ্ধে চৌগাছা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে আজ চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ রিফাত খাঁন রাজিবের অনুপস্থিতিতে ইনচার্জে থাকা থানার তদন্ত অফিসার উত্তম কুমার বিশ্বাসের সাথে সরাসরি কথা বললে তিনি বলেন, এখনো আসামিকে আটক করা যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে, আমরা বসে নেই।