“চোখের প্রেমে” -শ্যামা
জীবনে অনেক বার প্রেমে পড়েছি,
কিন্তু কখনো চোখের প্রেমে পড়েছি ঠিক মনে পড়ছে না।
মানুষের চোখে এমন মায়া মমতা,
আর সম্মোহনী শক্তির ধৃষ্টতায় সম্মোহিত করে এতটা উতালপাতাল করে তোলে বুকে বাঁম পাশটায়!
সম্মোহনী শক্তির যাদুতে আমাকে আঁকড়ে পিষ্টে না ধরলে এ জীবনে বুঝি হয়তো জানাই হতো না!
যে চোখ দেখেছি মাত্র কয়েক সেকেন্ড,
আর তাতেই আমার ভেতরটা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়ে আকাশে মিলিয়ে গেল নিমিষেই!
এখন মনে হচ্ছে সেতো শুধু চোখ নয়!
আস্ত একটা নীল আকাশ-
যে আকাশে ডানা মেলে উড়া যায় নিমিষেই,
মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে দোল খাওয়া যায় মনের আনন্দে।
তারপর যখন মেঘের ভেলা গুলো বড্ড অভিমানে ,
বৃষ্টি হয়ে আমার সারা গাঁ ভিজিয়ে,
আমাকে নগ্ন পায়ে নৃত্যে মাতাবে,
আমাকে স্পর্শ করবে স্বর্গীয় সুখানুভূতি।
চোখে তার নেশায় মাতল!
এ চোখ নদীর ঢেউয়ের মত!
নদীর ঢেউয়ের তালে তালে নৌকায় পাল তুলে ভেসে বেড়ানো বর্ষায়।
অতৃপ্ত আত্মার আর্তনাদ জ্বলন্ত উনুনে আমায় ফেলে গেছে ,
মাত্র কয়েক সেকেন্ড দর্শন দিয়ে!
অনুভূতির চাদরে ছটফটিয়ে মরছি সারাবেলা!
কবি সত্তার সমস্ত কাল্পনিক অস্তিত্ব দিয়ে ,
ঐ চোখের সৌন্দর্য প্রকাশ করা কি আদৌও সম্ভব?
অন্তত আমার বিশ্বাস বলে কখনোই সম্ভব নয়!
কবি সত্তা তোমার চোখের পদতলে আজ নতজানু!
কেবল সৃষ্টিকর্তাই তার এই অপরুপ সৌন্দর্যের মহিমান্বিত মহিমা প্রকাশ করতে পারে।
কোন সৃষ্টির পক্ষে সম্ভব নয়!
আমি তো অতি ক্ষুদ্র জীব-
শুধু এই মায়াবী চোখের দিকে তাকিয়ে কল্পনার জগতে সৃষ্টি করতে পারি তোমার আমার পৃথিবী।
যাহোক, এই তেত্রিশে কি থমকে গেলাম নাকি শুধুই একটা চোখের প্রেমে পড়লাম ভেবে পাই না?