উয়েফা সুপার কাপের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। টাইব্রেকারে চেলসির বিপক্ষে ৫-৪ গোলে জয় পেয়ে চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। তুরস্কের ইস্তানবুলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণ আর প্রতি আক্রমণে খেলা জমে ওঠে।ম্যাচের ৩৬ মিনিটে অলিভিয়ার জিরুর গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। যুক্তরাষ্ট্রের ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ান পুলিসিচের ডিফেন্স চেরা পাস পেয়ে এগিয়ে ছোট ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।এরপর গোল শোধে মরিয়া লিভারপুল আর ব্যবধান বাড়াতে চায় চেলসি। ম্যাচের ৪০ মিনিটে লিভারপুলের জালে বল পাঠিয়ে ব্যবধান বাড়ায় পুলিসিচ। কিন্তু অফ-সাইডের কারণে গোলটি বাতিল করেন নারী রেফারী ফ্রান্সের স্তেফানি ফ্রাপা। ফলে বিরতিতে যাওয়ার আগে কোনও দলই গোলের দেখা পায়নি। বিরতি থেকে ফিরে গতি বাড়ায় লিভারপুল।৪৮ মিনিটে সাদিও মানের গোলের মধ্য দিয়ে সমতায় ফেরে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ফাবিনিয়োর উঁচু করে ডি-বক্সে বাড়ানো বল আগুয়ান গোলরক্ষক কেপা আরিসাবালাগা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার আগ মুহূর্তে টোকা দিয়ে ডান পাশে থাকা সাদিও মানেকে দেন ফিরমিনো। ফাঁকা পোস্টে বল পাঠাতে ভুল করেননি সাদিওমানে। নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। ৯৫ মিনিটে সেই সাদিও মানের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল।বাঁ পাশ দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে ফিরমিনোর করা কাট ব্যাক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে উঁচু কোনাকুনি শটে আবারো লক্ষ্যভেদ করেন সেনেগালের এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু বেশিক্ষণ ব্যবধান ধরে রাখতে পাড়লো না ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ছয় মিনিট পর ট্যামি আব্রাহামকে ডি-বক্সে আদ্রিয়ান ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দল। স্পট কিক থেকে সমতা ফেরান জর্জিনিয়ো। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আর টাইব্রেকারের পাঁচটি শটেই গোল করে লিভারপুল। চেলসির হয়ে আব্রাহামের নেয়া শেষ শটটি ফিরিয়ে দেন লিভারপুলের গোল রক্ষক আদ্রিয়ান।