চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগের চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও অন্তত ২০ জন। দ্য গার্ডিয়ানের।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির রাজধানী প্রাগের চার্লস ইউনিভার্সিটিতে ভয়াবহ এ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী চার্লস ইউনিভার্সিটির বিশ্ব ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী। অন্যদের হত্যা করে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানানো হয়।
জানা গেছে, ২৪ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী প্রথমে তার বাবাকে হত্যা করেন। যিনি তার পরিবার নিয়ে ক্লান্ডো শহরের নিকটবর্তী একটি গ্রামে থাকতেন। তবে নিরাপত্তার কারণে পুলিশ তার নাম জানায়নি। ওই যুবক ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদিতা’ থেকে ‘প্রেরণা’ নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালায় বলে মনে করছে চেক পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারী সম্ভবত ওই ১৪ জনকে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। তবে তিনি পুলিশের পাল্টা গুলিতে নিহত হয়েছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভন্ড্রাসেক জানিয়েছেন, বন্দুকধারী ওই শিক্ষার্থী খুবই মেধাবী ছিলেন ও তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। কিন্তু ঠিক কী কারণে তিনি এমন কাজ করেছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তারা অসমর্থিত সূত্রে জানতে পেয়েছে যে রাশিয়ার একটি সন্ত্রাসী হামলায় অনুপ্রাণিত হয়ে ওই শিক্ষার্থী এই হামলা চালিয়েছে।
পুলিশ প্রধান ভন্ড্রাসেক জানিয়েছেন, বন্দুকধারী শিক্ষার্থীর কাছে বেশ কয়েকটি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। হত্যাকাণ্ডটি পূর্ব পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। যার শুরুটা হয়েছিল ক্লাদনো অঞ্চলে ও শেষ হয়েছে প্রাগে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলার সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল। ক্যাম্পাসে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে সবাইকে শান্ত ও সংযত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে। পাশাপাশি নিহতদের প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম