অবশেষে সব জল্পনা কল্পনা শেষে চীনের সিনোভ্যাকের করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়াল চালানোর অনুমতি দিল বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি মেলাতেই চীনের সংস্থাটিকে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বাংলাদেশে চীনের করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালানো নিয়ে জটিলতার অবসান ঘটায় খুশি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এমন ‘সাহসী’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তাঁরা।
চীনে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়াল চালানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছিল দেশটির ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা সিনোভ্যাক। সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছিল বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল দেশে করোনা ভ্যাকসিনের মানবদেহে প্রয়োগের বিষয়টি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য দেশের সাতটি সরকারি হাসপাতালকে বেছেও নেওয়া হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল ৪২০০ জনের উপরে ট্রায়াল চালানো হবে।
কিন্তু বিএমআরসি অনুমোদন দেওয়ার পরেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চীনের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নিয়ে উচ্চবাচ্য না করায় আদৌ সিনোভ্যাকের তৃতীয় দফার ট্রায়াল হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল।
আজ জরুরি বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চীনের করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি নেওয়া হয়েছে।
তাঁর (প্রধানমন্ত্রী ) কথায়, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে যেসব দেশ কাজ করছে, সবার সঙ্গেই আলোচনা হয়েছে। চীন যেহেতু সবার আগে প্রস্তাব দিয়েছে, তাই তাদের ভ্যাকসিন সবার আগে ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত এবং সিনোভ্যাক সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকদের আমরা অনুমতি দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছি। যাঁরা স্বেচ্ছায় ট্রায়ালে অংসগ্রহণ করতে চান, তাঁদের উপরেই শুধু ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।’
করোনা ভ্যাকসিন পেতে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।